মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কঠোর নির্দেশ আর পরিষদীয় নেতৃত্বের তৎপরতার পর বিধানসভায় (Assembly) তুমুল সক্রিয় সরকারপক্ষের বিধায়করা। এদিন রাজ্যপালের ভাষণের উপর আলোচনার প্রথমদিনে মোট ২৪ জন বক্তা অংশ নেন। এর মধ্যে ১৪ জনই সরকারপক্ষের। এছাড়াও এমন ৯ জন তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) সোমবার বক্তব্য রাখেন, যাঁদের অতীতে কখনও বিধানসভায় বক্তৃতা দিতে দেখা যায়নি। এঁদের মধ্যে কয়েকজন সদ্য জয়ী বিধায়কও যেমন রয়েছেন, তেমন রয়েছেন অনেক পুরনো বিধায়কও।

নৈহাটির সনৎ দে, তালডাংড়ার ফাল্গুনী সিংহ বাবু, মধুপর্ণা ঠাকুর, করবী মান্না, অরিন্দম গুঁই এবং বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের টিকিটে জিতে আসা মুকুটমণি অধিকারী সোমবার প্রথম বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও প্রথম বক্তার তালিকায় ছিলেন, শেখ রবিউল ইসলাম, সঙ্গীতা রায় এবং মেদিনীপুরের বিধায়ক সুজয় হাজরা। খোদ পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনের চট্টোপাধ্যায় নতুন বিধায়কদের (TMC MLA) কাছে গিয়ে তাঁদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন। তাঁদের তালিম দিতে মাঠে নামতে দেখা যায় মানস ভুঁইয়ার মতো সংসদীয় রাজনীতিতে পোড় খাওয়া বক্তাদের।

সম্প্রতি পরিষদীয় দলের বৈঠকে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী নীরব বিধায়কদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলেও দলীয় সূত্রে শোনা যাচ্ছিল। তৃণমূলের পরিষদীয় দলের তরফেও সংশ্লিষ্ট বিধায়কদের সতর্ক করা হয়েছিল। তারই ফল স্বরূপ এই সক্রিয়তা বলে মনে করা হচ্ছে।

–

–

–

–

–

–
