Sunday, August 24, 2025

রাজ্যের ক্ষমতায় আসার সময়ই চেপেছে বাম আমলের ঋণের বোঝা। অন্যদিকে কেন্দ্রের সরকার বঞ্চিত করেছে রাজ্যের ন্যায্য পাওনা থেকে। তারপরেও বর্তমান তৃণমূল সরকার সরকারি কর্মচারিদের শুধুমাত্র মহার্ঘ্য ভাতা (DA) বাবদ এপর্যন্ত ব্যয় করেছে ২ লক্ষ কোটি টাকা, বিধানসভায় তথ্য পেশ খোদ মুখ্যমন্ত্রীর। যে বামেরা সরকারি কর্মীদের উস্কানি দিয়ে আন্দোলনে নামাচ্ছে, তাদের সঙ্গে তৃণমূল সরকারের অঙ্কের ফারাকটাও এদিন বিধানসভায় স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যেখানে রাজ্যকে বঞ্চিত করছে, সেখানে রাজ্যের বিজেপি নেতারা রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের উস্কানি দিচ্ছেন মহার্ঘ্য ভাতা (DA) নিয়ে। সেখানেই সরকারি কর্মীদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, যারা মাঝে মাঝেই নাটক করে সরকারি কর্মচারিদের (government employees) মাথার মধ্যে একটা কিছু ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে যাতে ভোটটা তারা পায়। সরকারি কর্মচারিরা আমার গর্ব। আমি বলব ওদের কুৎসায় কান দেবেন না। রাজ্য সরকার রাজ্য সরকারের পে কমিশন অনুযায়ী চলে। তার বেতন কাঠামো আলাদা। কেন্দ্রীয় সরকারের বেতন কাঠামো আলাদা।

এরপরই তিনি তুলে ধরেন বাম আমলে সরকারি কর্মীদের (governmnet employees) সঙ্গে বর্তমান সরকারের আমলে সরকারি কর্মীদের পার্থক্য। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর তথ্য পেশ, সিপিএম আমলে কত শতাংশ ডিএ হয়েছিল- ৩৫ শতাংশ। ১৩ হাজার কোটি টাকা দিতে হয়েছিল। আমরা ৯০ শতাংশ ডিএ (DA) দিয়েছিলাম। যার আর্থিক পরিমাণ ১ লক্ষ ৬৭ হাজার কোটি টাকা। আমরা ২০১৯ সালে ষষ্ঠ পে কমিশন (sixth pay commission) চালু করি। ফেল বেসিক পে-র সঙ্গে বেতন ২.৫৭ গুণ বৃদ্ধি হয়েছে। এই পে কমিশন অনুযায়ী বর্ধিত বেসিক বেতনের উপর ১৪ শতাংশ যে ডিএ আমরা ইতিমধ্যেই দিয়েছি তাতে ১৯ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এই বেজেটে আমরা আরও ৪ শতাংশ ডিএ দিচ্ছি। অর্থাৎ ১৮ শতাংশ। ২০১১ সাল থেকে আজ অবধি আমাদের সরকার ডিএ (DA) বাবদ প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করেছে। ৭৫ হাজার কোটি টাকার দেনা শোধ করে।

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version