কোনওরকমে বেঁচে ফিরে প্রয়াগরাজের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা শোনালেন ধূপগুড়ির শুভজিৎ

প্রয়াগরাজে গিয়েছিলেন পুণ্য লাভ করতে।এখনও পর্যন্ত মহাকুম্ভে ডুব দিয়েছেন কয়েক লক্ষ পুণ্যার্থী। কিন্তু শুরুর দিন থেকে যে পরিমাণ দুর্ঘটনা ঘটেছে তার সঠিক তথ্য এখনও সামনে আনেনি যোগী সরকার।গত একমাসে শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশে যে পরিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে, আর তাতে কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেই প্রশ্ন করেও উত্তর মিলছে না। উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে নাস্তিক তকমা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

ঠিক এভাবেই প্রয়াগরাজে(prayagraj) গিয়ে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা হয়েছে ধূপগুড়ির শুভজিৎ ঘোষের। কোনওমতে ভাঙা হাতের অপারেশন করিয়ে প্রাণে বেঁচে ফিরে এসেছেন। দ্রুত সেই স্মৃতি ভুলতে চাচ্ছেন । শুভজিৎ জানিয়েছেন, আট বন্ধু মিলে দুটি গাড়িতে করে ধূপগুড়ি থেকে রওনা হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের উদ্দেশ্যে। প্রয়াগরাজে পৌঁছানোর পরই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাদের গাড়ি। দুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রত্যেকেই গুরুতর আহত হয়। দুর্ঘটনাস্থলের কাছেই পুলিশকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে চিৎকার করে সাহায্য চাইলেও মেলেনি কোনও সাহায্য। স্থানীয় কয়েকজন কিছুটা সাহায্যের হাত বাড়ায়, তাতেই কোনও রকমে উদ্ধার হতে হয়। এরপর নিজেরাই খোঁজখবর নিয়ে স্থানীয় একটি হাসপাতালে গিয়ে পৌঁছান। কিন্তু গুরুতর আহত থাকার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদেরকে রেফার করে দেওয়া হয় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। প্রাথমিক হাসপাতালে বহু সময় অপেক্ষা করার পর অ্যাম্বুলেন্স মেলে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যাবার জন্য।

যোগী রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে গিয়েও অভিজ্ঞতা হয় খারাপ। বাধ্য হয়ে নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে বেসরকারি নার্সিংহোমে গিয়ে চিকিৎসা করান। নার্সিংহোমে করতে হয় হাতের অপারেশন। ভাঙা হাতে তারপরও প্রয়াগরাজে গিয়ে করেন স্নান। যাবার পথে গাড়িটি যেহেতু দুর্ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যায় তাই অসুস্থ অবস্থায় ফেরার জন্য উঠতে হয় ট্রেনে। ব্রহ্মপুত্র মেলের থ্রি টায়ারে উঠেও অভিজ্ঞতা হয় খুবই খারাপ। ট্রেনের রিজার্ভেশন বলে কিছুই ছিল না। মানুষ কোনওরকমে একটু জায়গা পেলেই সেখানে দাঁড়িয়েই পৌঁছতে চায় গন্তব্যে। পুণ্য লাভের আশায় যে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে সে কথা মনে পড়লেও এখন শিউরে উঠছেন শুভজি।