কলকাতার ট্যাংরা কাণ্ডের ছায়া কি এবার রাজ্যের বাইরেও? কেরলের (Kerala) সরকারি আধিকারিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার আমলা-সহ তিনজনের মৃতদেহ। সকলেই আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিজয়নের রাজ্যে এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃত আমলার নাম মণীশ বিজয় (Manish Vijayan) । তিনি এক্সসাইজ এবং জিএসটির অ্যাডিশনাল কমিশনার (Additional commissioner of GST Department) পদে ছিলেন বলে জানা যায়। ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা হলেও তিনি কর্মসূত্রে পরিবার নিয়ে কেরলেই থাকছিলেন। সহকর্মীরা জানিয়েছেন ওই আধিকারিক চার দিন ধরে ছুটিতে ছিলেন। কিন্তু সেই মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও তিনি অফিসে আসছিলেন না। তাঁর খোঁজ নিতে বাড়ি যেতেই বন্ধ দরজা থেকে বোঁটকা গন্ধ বেরনোয় সন্দেহ বাড়ে। এরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করেছে। মণীশ এবং তাঁর বোন শালিনীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে এবং তাঁদের মায়ের দেহ বিছানায় শোয়ানো ছিল। বৃদ্ধার দেহ যেভাবে সাদা চাদরে ঢেকে পাশে ফুল ছড়ানো ছিল তাতে অনুমান নিজের সন্তানদের হাতেই খুন হতে হয়েছে তাঁকে। মণীশের ঘর থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেখানে মৃত্যুর খবর বিদেশি আত্মীয়দের জানানোর কথা লেখা আছে। মৃত্যুর তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, শালিনী ঝাড়খান্ড পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে ডেপুটি কালেক্টারের চাকরি করার সময় তাঁর ব়্যাঙ্ককে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়। পরবর্তীতে তিনি চাকরিও হারান। কোর্টে সেই সংক্রান্ত মামলা চলছে। সেই কারণেই কি চরম সিদ্ধান্ত? পাশাপাশি মণীশের কোনও মানসিক অবসাদ ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

–

–

–

–

–

–

–

–

–
