বাংলাদেশে পাঁচটি স্তরেই একসঙ্গে ভোট করা সম্ভব: নির্বাচন কমিশন

কমিশন(election comission) জানিয়েছে, পাঁচটি স্তরেই একসঙ্গে ভোট করা সম্ভব

বাংলাদেশে(bangladesh) সব স্তরে নির্বাচন করার প্রস্তাব করল নির্বাচন কমিশন। এমনকী, আগামী জুনের মধ্যে দেশে এই নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব বলে জানিয়েছে তারা। শনিবার কমিশনের প্রকাশিত প্রাথমিক রিপোর্টে এই সুপারিশ করা হয়েছে।সুপারিশে তারা জানিয়েছে, আগামী জুনের মধ্যেই ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পুরসভা, সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদের ভোট শেষ করা যেতে পারে।প্রাথমিকভাবে সেই সুপারিশে বলা হয়েছে, জুলাইতে গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশে কার্যত কোনও স্থায়ী সরকার নেই। তবে এই মুহূর্তে সব প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব। বর্তমানে নতুন একটি স্বচ্ছ ক্যানভাসে নতুন ছবি আঁকা সম্ভব। না হলে নির্বাচনের আগে অনেক প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ শেষ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারে সংসদীয় পদ্ধতি চালুর সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে কমিশন। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সংসদীয় পদ্ধতি চালু করার আলোচনা দীর্ঘদিন ধরে জনপরিসরে থাকলেও কোনও সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। এখন তা হয়েছে।কমিশন(election comission) জানিয়েছে, পাঁচটি স্তরেই একসঙ্গে ভোট করা সম্ভব। তবে তার জন্য তিনমাস সময় লাগবে, জুনে নির্বাচন হতে পারে বলে পরামর্শ কমিশন কর্তাদের। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে সরকার, রাজনৈতিক দলগুলো এবং নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটি ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হলেই তা সম্ভব হবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। এই নির্বাচনের দিনক্ষণ তারাই ঠিক করে। তবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নির্বাচন কবে হবে, তা মূলত নির্ভর করছে অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ওপর।ইতিমধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ কিছু রাজনৈতিক দল আলাদাভাবে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছে। সেখানে দলগুলো নির্বাচন প্রশ্নে তাদের অবস্থানও তুলে ধরে। বিএনপি এবং বাম জোট এ বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। তারা আগে স্থানীয় নির্বাচন করার বিপক্ষে মত দিয়েছে।অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য কোনও সময় বেধে দেয়নি।জামায়াত চায় আগে সংস্কার, তারপর নির্বাচন।