কলকাতা ট্রামের ১৫২ বছর পূর্তিতে নস্টালজিক শহরবাসী

বাইক, মেট্রো, অটো, ক্যাবের ভিড়ে ট্রাম ব্রাত্য!

0
1

কলকাতা(kolkata) শহরের সঙ্গে ট্রামের নিবিড় যোগাযোগ। ট্রামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নস্টালজিয়া। এই শহরকে চিনতে গেলে অনেক কিছুর মতো ট্রামও চিনতে হয়। ঔপনিবেশিক শাসনের সময় থেকে আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে শুধুমাত্র কলকাতা আর মেলবোর্ন শহরেই ট্রাম একটানা চলেছে কোনও বিরতি ছাড়াই। ইতিহাস বলছে, ১৮৭৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এশিয়ার প্রাচীনতম এবং ভারতের প্রথম ট্রাম(tram) পরিষেবা চালু হয়েছিল এই শহরের বুকেই।সোমবার কলকাতা ট্রামের ১৫২ তম জন্মদিন পালিত হল।ক্যালকাটা ট্রাম ইউজার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এদিন ৪৯৮ নম্বর ট্রামটি সুসজ্জিত হয়ে সকাল সাড়ে নটা নাগাদ গড়িয়াহাট ট্রাম ডিপো থেকে রওনা হয়ে ধর্মতলা ডিপোতে আসে। সেখানে একপ্রস্থ ফুল মালায় ট্রামটিকে বরণ করা হয়। এরপর ট্রামটি রওনা হয় শ্যামবাজার ট্রাম ডিপোর উদ্দেশে। সেখানে কেক কেটে ১৫২ তম জন্মদিন পালন করা হয়।

ভারতের অন্যান্য শহরগুলি থেকে ধীরে ধীরে ট্রাম যখন হারিয়ে গিয়েছে, তখন শুধুমাত্র ট্রাম টিকে আছে কলকাতায়। কম খরচে নিম্নব্যয়ের যান হিসেবে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের কাছের পরিবহন হয়ে উঠেছিল ট্রাম। ফলে একদা কলকাতার সিগনেচার টিউন ছিল দু-কামরার ট্রামের ঘড়ঘড় শব্দ। আর টুং টুং ঘণ্টাধ্বনি ছিল শহরের চেনা শব্দ। গতি, ব্যস্ততার কাছে হার মেনে সেইসব শব্দ এখন কোণঠাসা। বাইক, মেট্রো, অটো, ক্যাবের ভিড়ে ট্রাম ব্রাত্য! অথচ গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর দাপটে বিশ্বের উন্নত দেশগুলি যখন ট্রাম চলার গুরুত্ব স্বীকার করছে, তখন কলকাতা ক্ষতবিক্ষত হয়েছে হয়েছে ট্রাম হারানোর যন্ত্রণায়।

শুধুমাত্র হেরিটেজ নয়, ট্রাম চলার পক্ষে যুক্তি তৈরি করতে বিশ্বের ট্রামপ্রেমী মানুষের বিশুদ্ধ আয়োজন এই ট্রামযাত্রা। ক্যালকাটা ট্রাম ইউজার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সাগ্নিক গুপ্ত  বলেন, মানুষের আবারও ভাবার সময় এসেছে ট্রাম নিয়ে। যেখানে জার্মানি, রাশিয়ার মত দেশে ট্রাম চলছে, উত্তর আফ্রিকার দেশগুলিতে যেখানে ট্রাম নতুনভাবে চালানো হচ্ছে, সেখানে কলকাতার ট্রামের ১৫২ বছরে ট্রাম নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।