Sunday, August 24, 2025

মাত্র দশমাসের লিও রক্তের জটিল রোগে আক্রান্ত। সন্তানসম পোষ্যের এরকম অসুস্থতায় অভিভাবকদের প্রায়ই দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়। তবে লিও-র মতো তাঁদেরও নিশ্চিন্ত হওয়ার দিন দেখালো শহরের পশু চিকিৎসাকেন্দ্র। সারমেয় লিও-র জীবন বাঁচাতে রক্ত দিলো আরেক সারমেয় কোকো। পোষ্যদের রক্তদানের অভিনব উদ্যোগ নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করলেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। দুই পোষ্যের সুস্থতাও কামনা করলেন তিনি।

সত্যজিৎ বিদ্যার্থীর ১০ মাস বয়সী পুরুষ ডোবারম্যান (Doberman) লিও জটিল রোগে আক্রান্ত। তার জরুরি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন ছিল। তার হিমোগ্লোবিন (hemoglobin) ৩-এ নেমে যায়। নিয়ে আসা হয় প্রতীপ চক্রবর্তীর অ্যানিম্যাল হেলথ প্যাথোলজিকাল ল্যাবে। রক্ত দিতে এগিয়ে আসেন ঋষিকান্ত মুখোপাধ্যায়। তাঁর ১০ বছরের গোল্ডেন রিট্রিভর (golden retriever) কোকো রক্তদান করে প্রাথমিক সুস্থতায় লিও-কে পথ দেখায়।

কোকোর রক্ত পেয়ে খানিকটা সুস্থ লিও। যদিও তার এখনও ডায়ালিসিস, কেমোথেরাপির প্রয়োজন। সম্পূর্ণ চিকিৎসা হবে এই পশু চিকিৎসাকেন্দ্রেই। আর্ত মানুষের প্রাণ বাঁচাতে রক্তদানে বারবার শহরের মানবিক মুখ দেখা যায়। তবে পোষ্যের জন্য এমন সুযোগ পাওয়া অনেক সময়ই উপযুক্ত পশু চিকিৎসাকেন্দ্র ও মানবিক পোষ্য অভিভাবকদের অভাবে সম্ভব হয় না। এবার সেই পথ দেখাচ্ছে অ্যানিম্যাল হেলথ প্যাথোলজিকাল ল্যাব (Animal Health Pathological Lab)। রক্তদান সফল হওয়ার পর কুণাল ঘোষ দুই সারমেয় ও তাদের চিকিৎসাকেন্দ্রের উদ্দেশে লেখেন, পোষ্যদের চিকিৎসার আধুনিক সব যন্ত্র বসিয়েছেন প্রতীপ। কিছুদিন আগেই এটির একটি শাখার উদ্বোধনে গিয়েছিলাম। সেই ইউনিট যে এত জটিল চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছে, জেনে একজন পোষ্যপ্রেমী হিসেবে ভালো লাগল। প্রতীপ এবং টিমকে শুভেচ্ছা। কোকোকে আদর। লিও সুস্থ থাকুক।

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version