কৃষকদের কাছ থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে আলু কেনা শুরু রাজ্যের

১ মার্চ থেকে  চাষিদের কাছ থেকে জ্যোতি আলু কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

মুখ্যমন্ত্রী আলুর ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ঘোষণার পর রাজ্য সরকার কৃষকদের কাছ থেকে আলু কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।তবে শুধু আলুই নয় কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে এবং সাধারণ মানুষকে শাক-সব্জির আকাশছোঁয়া দাম থেকে রেহাই দিতে  পেঁয়াজ, টোম্যাটো-সহ বিভিন্ন আনাজ তাদের থেকে সরাসরি কিনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সরকার নিয়ন্ত্রিত বিক্রয় কেন্দ্রগুলি থেকে তা রাজ্য জুড়ে বিক্রি  করা হবে । এজন্য আলুর মতো ওই সব ফসলেরও সহায়ক মূল্য স্থির করা হচ্ছে বলে কৃষি বিপণন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।

ওই দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ১ মার্চ থেকে  চাষিদের কাছ থেকে জ্যোতি আলু কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে মোট ১২টি জেলায়  ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই পর্ব চলবে। পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুর থেকে মোট ১১ লক্ষ টন আলু সংগ্রহ করা হবে।একজন কৃষকের  কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ কুইন্টাল আলু কেনা হবে। প্রতি কুইন্টাল আলুর দাম দেওয়া হবে ৯০০ টাকা। হিমঘর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে চাষিদের কাছ থেকে আলু কিনবে সরকার। হিমঘর মালিকদের সমবায় ব্যাঙ্ক বা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। আলুর অতিরিক্ত ফলনের প্রেক্ষিতে চাষীদের অভাবী বিক্রি রুখতে এই পদক্ষেপ।

এদিকে প্রশাসনিক সূত্রের খবর, কৃষি বিপণন দফতরের অধীনে রাজ্যে সংখ্যায় বেড়ে ৯০টি ‘রেগুলেটেড মার্কেট কমিটি’ (আরএমসি) আনাজ কিনবে। জেলা স্তরে আরএমসি-গুলি জেলাশাসকদের অধীনে। ঠিক হয়েছে, গোটা বছর ধরে প্রায় ৫০০০ টন আলু কৃষকদের থেকে কেনা হবে। রাজ্যে এখন ৭০-৮০ কুইন্টাল রবি-সুখসাগর পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়। কুইন্টাল  ২২৫০ টাকা দামে তা কিনে নেওয়ার পরিক্লপনা করা হয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হলদিবাড়িতে উৎপাদিত প্রায় ২০০০ কেজি টোম্যাটো কুইন্টালে ৭০০-৮০০ টাকায় কেনার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার।