পানাগড়কাণ্ডে নয়া চমক, সুতন্দ্রার গাড়ি চালকের বিস্ফোরক অভিযোগ

পানাগড়কাণ্ডে প্রথমে দাবি উঠেছিল কটূক্তি, ইভটিজিংয়ের।এরপর সিসিটিভি(CCTV) ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানিয়েছিল, মৃত সুতন্দ্রার গাড়িই ধাওয়া করেছিল অভিযুক্তদের গাড়ি।কোনও ইভটিজিং হয়নি। এবার সুতন্দ্রার গাড়ির চালক আরও এককদম এগিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন। তার দাবি, ‘ম্যাডাম’ই তাকে বাবলু যাদবের গাড়ির পিছনে ধাওয়া করতে বলেছিলেন!ফলে পুরো ঘটনাই এখন সম্পূর্ণ অন্যদিকে মোড় নিল।

কী বলছেন সুতন্দ্রার গাড়ির চালক?তার দাবি, পিছু ধাওয়া করতে করতে তাদের গাড়ির গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারও উঠে গিয়েছিল।এমনকী, গতিবেগ এতই বেশি ছিল যে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই তাদের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এবং উল্টে যায়।

গত রবিবার নাচের অনুষ্ঠানের জন্যই চন্দননগর থেকে ডান্স ট্রুপের সঙ্গীদের সঙ্গে বিহারের(bihar) গয়ায় যাচ্ছিলেন সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু সেখানে আর পৌঁছনোই হল না।প্রথমে অভিযোগ ওঠে যে রাস্তায় ইভটিজারদের খপ্পরে পড়ে সম্মান বাঁচাতে গাড়ি নিয়ে দৌড়াতে থাকেন। মদ্যপ যুবকদের তাড়া খেয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনা। ঘটনাস্থলেই মর্মান্তিক মৃত্যু। প্রাথমিক ভাবে অভিযোগ ওঠে, কয়েক জন মত্ত যুবক একটি সাদা গাড়িতে করে এসে সুতন্দ্রাদের নীল গাড়িটিকে বার বার ধাক্কা দেন। তার ফলেই উল্টে যায় সুতন্দ্রাদের গাড়ি। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তরুণীর। এই দাবি করেছিলেন ঘটনার সময় সুতন্দ্রার গাড়িতে থাকা সহকর্মীরা এবং গাড়িচালক।

পরে সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এনে পুলিশ দাবি করে, রেষারেষির কারণেই গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটেছিল পানাগড়ে। সুতন্দ্রাদের গাড়িটিকে বার বার ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিয়ে পুলিশের দাবি ছিল, তরুণীর গাড়িই যুবকদের সাদা গাড়িটিকে তাড়া করছিল ওই রাতে। কয়েকটি সিসি ফুটেজেও সুতন্দ্রার গাড়িটিকে যুবকদের গাড়ির পিছনে পিছনে যেতে দেখা গিয়েছে। সেই সময় সুতন্দ্রার গাড়ির গতিও বেশি ছিল।

সুতন্দ্রার মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই তাঁর দুই সহকর্মীর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে আদালতে। ওই সাদা গাড়ির চালক বাবলুকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। তার মধ্যেই সুতন্দ্রার গাড়িচালক রাজদেও শর্মা এ বার প্রকাশ্যে দাবি করলেন, রবিবার রাতে তরুণীর কথাতেই সাদা গাড়ির পিছনে ধাওয়া করেছিলেন তিনি।

রাজদেওর বিস্ফোরক অভিযোগ, ওই সাদা গাড়িটা আমাদের গাড়িতে প্রথমে ধাক্কা দিয়েছিল। তখন ম্যাডামই বলেছিল ওই গাড়িটার পিছনে ধাওয়া করতে। সাদা গাড়িটাকে দাঁড় করাতেও বলেছিল ম্যাডাম। আমি সেই চেষ্টাই করছিলাম। এগিয়েও গিয়েছিলাম। কিন্তু ওদের গাড়িটা দাঁড় করাতে পারিনি। এর পর জাতীয় সড়ক ছেড়ে লোকাল রোডে নেমে যায় ওদের গাড়িটা। ম্যাডামের কথায় আমি লোকাল রোডে গাড়ি নামাই। গাড়ির গতিবেগ প্রায় ১০০ ছিল। আমি সামলেই নিতাম। কিন্তু ওই টয়লেটটায় ধাক্কা লেগে উল্টে গিয়েছিল আমাদের গাড়িটা।