শেয়ার বাজারে রেকর্ড পতন, ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’তে গায়েব’ সাড়ে ৭ লক্ষ কোটি টাকা

বিনিয়োগকারীদের মাথায় হাত। নিম্নমুখী সেনসেক্সের (Downward Sensex) ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই এবার প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকা ‘ভ্যানিশ’। শুক্রবার দুপুর পৌনে চারটে নাগাদ সেনসেক্সের সূচক পড়ল ১৪১৪.৩৩ পয়েন্ট। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নয়া শুল্ক হুমকির জেরেই ভারতীয় শেয়ার বাজারে এই পতন জারি রয়েছে। এই আবহে বিনিয়োগকারীদের এত টাকার লোকসান যেন মেনে নিতে পারছেন না কেউই। ফেব্রুয়ারি মাসকে ধরলে টানা পাঁচ মাসের পতনের ধাক্কায় কার্যত কপালে ভাঁজ পড়েছে বিনিয়োগকারীদের একাংশের। ১৯৯৬ সালের পর এই প্রথম এতদিন ধরে ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে শেয়ার বাজারের সূচক।

শুক্রবার যেন প্রকৃত অর্থেই ব্ল্যাক ফ্রাইডে হয়ে উঠলো। মাসের শেষ দিনের সকাল থেকেই নিম্নগতি দেখা গিয়েছে ভারতের শেয়ার বাজারের সব সূচকে। বিএসই সেনসেক্স দুপুর দেড়টা-দুটো নাগাদ ১৪০০ পয়েন্ট নীচে নেমে যায়। ধাক্কা লেগেছে নিফটি ৫০ সূচকেও। ২২১৫০ পয়েন্টের নীচে নেমে যায় এই সূচক। এদিন শেয়ার বাজারে পতন ঘটেছে ইন্দাসইন্দ ব্যাঙ্ক, ইনফোসিস, টাটা স্টিল, টাটা মোটরস, মারুতি, এইচ সি এল টেক, মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা, টেক মাহিন্দ্রা, উইপ্রো- সহ বিভিন্ন শেয়ারের। আজও আন্তর্জাতিক বাজারে পতন ঘটেছে ভারতীয় টাকার দামে। ১ মার্কিন ডলারের অনুপাতে ভারতীয় টাকার দাম দাঁড়িয়েছে ৮৭ টাকা ৩৮ পয়সা। এদিকে নিফটি ৪০০ পয়েন্টেরও বেশি পড়ে গিয়েছে। গত ৬ মাসে নিফটি পড়েছে ৯.৮৮ শতাংশ।শুক্রবার বিএসই-এর পতনের জন্য প্রায় ৯.৬১ কোটি টাকার সম্পদ মুছে গিয়েছে বাজার থেকে। আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুর পর থেকেই শুল্ক যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানির উপর শুল্ক চাপানোর কথা বলায় এই মুহূর্তে চরম ক্ষতির মুখে শেয়ার বিনিয়োগকারীরা।