সোমবার এনআরএস হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ট্যাংরা(tangra) কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত প্রসূন দে। ছাড়া পাওয়ার পরই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।মঙ্গলবার তাকে আদালতে পেশ করা হয়। বিচারককে তিনি জানান, তার কোনও আইনজীবী দরকার নেই। পুলিশ আদালতে চার্জশিট পেশ করলে, তিনি অপরাধ স্বীকার করবেন।

ট্যাংরা কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর থেকে প্রসূনের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী, বউদি এবং কিশোরী কন্যাকে খুনের অভিযোগ ওঠে।তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় এতদিন গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।এদিন বিচারপতি প্রসূনকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি আইনজীবী(lawyer) নিতে চান নি, কিছু বলতে চান? কার্যত চুপ করে থাকেন প্রসূন। সরকার পক্ষের আইনজীবী আদালতে জানান, ক্রাইম সিনের পূণর্নিমার্ণ করে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। অভিযুক্তের চার দিনের পুলিশ হেফাজত চান তিনি। আদালত ফের প্রসূনকে জিজ্ঞাসা করে, পুলিশ আপনাকে হেফাজতে চাইছে। কিছু বলবেন?এই প্রশ্নের উত্তরেও চুপই থাকেন প্রসূন। বিচারক প্রসূনের আগামী ৬ তারিখ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিন বিচারক তাকে ফের প্রশ্ন করেন, বিনা পয়সায়, কোনও টাকা লাগবে না তাও আইনজীবী রাখবেন না? প্রসূন ফের ঘাড় নেড়ে বলেন, ‘না’। বিচারক ফের তাকে প্রশ্ন করেন, আপনার কিছু বলার আছে? প্রসূন দৃশ্যত একই ভঙ্গিমায় বলেন, ‘না’। সেই সঙ্গে বিচারক আইনজীবী রাখার কথাও বলেন। প্রসূন বিনা স্ত্রী ও বৌদির হাতের শিরা ও গলা কেটে খুন করেছেন প্রসূনই। সে কথা তিনি নিজের মুখে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। দুই বউ আত্মহত্যার চেষ্টা করে না পারায় প্রসূন হাত কেটে দেন বলে পুলিশের কাছে জানিয়েছেন। হাত ও গলা কেটে আওয়াজ কমের জন্য বালিশ দিয়ে মুখও চাপা দিয়েছিলেন বলে জানান তিনি। বাড়ির মহিলাদের মেরে আত্মহত্যার জন্য বেরিয়েছিলেন তিনি, তার দাদা ও নাবালক ছেলে। আপাতত নাবালক ও তার বাবা অর্থাৎ প্রসূনের দাদা প্রণয় এনআরএস হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন।খরচে আইনজীবী রাখতে চায় কিনা সেটাও জানতে চান বিচারক।ই সঙ্গে বিচারক আইনজীবী রাখার কথাও বলেন। প্রসূন বিনা খরচে আইনজীবী রাখতে চায় কিনা সেটাও জানতে চান বিচারক।সেই সঙ্গে বিচারক আইনজীবী রাখার কথাও বলেন। প্রসূন বিনা খরচে আইনজীবী রাখতে চায় কিনা সেটাও জানতে চান বিচারক।

–


–

–

–

–

–

–

–

–
–