হালতু সুইসাইড কাণ্ডে মামা-মামির পর গ্রেফতার লোন রিকভারি এজেন্ট 

কসবায় (Kasba) সপরিবারে মৃত অটোচালক সোমনাথ রায়ের (Somnath Roy) মামা- মামির পর এবার লোন রিকভারি এজেন্ট চঞ্চল মুখোপাধ্যায়কে (Chanchal Mukherjee) গ্রেফতার করলো পুলিশ। সুইসাইড নোটের ভিত্তিতেই এই গ্রেফতারি বলে কসবা থানা (Kasba Police Station) সূত্রে জানা গেছে। সূত্রের খবর সোমনাথ ব্যাংক থেকে যে ১০ লক্ষ টাকার লোন নিয়েছিলেন তার রিকভারি করার জন্য এই এজেন্ট অটোচালকের উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করছিলেন বলে অভিযোগ।

হালতুর বাসিন্দা সোমনাথ আর্থিক সমস্যার জেরে পুত্র এবং স্ত্রীকে নিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি একটি সুইসাইড নোট লিখে গেছিলেন। সেখানে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ এবং মামা-মামির নাম উল্লেখ ছিল।সোমনাথের মামার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া এবং ষড়যন্ত্রর অভিযোগ আনেন মৃত সুমিত্রার দিদি সুপর্ণা ভৌমিক। সুমিত্রার বাবা বিশ্বনাথ ভৌমিকও তাঁর মেয়ে, জামাই ও নাতিকে খুনের অভিযোগ এনেছেন। এরপরই মামা মামিকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্ত নেমে পুলিশ জানতে পারে লোন এজেন্ট চঞ্চল কয়েকদিন অন্তর অটোচালকের বাড়ি গিয়ে তাঁকে টাকা দেওয়ার জন্য নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করতেন। এমনকি মাঝেমধ্যে চড়াও হয়ে অটো চালককে হুঁশিয়ারি দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এরপরই চঞ্চলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সন্দেহ বাড়ায় তাঁকে পরবর্তীতে গ্রেফতার করেছে কসবা থানার পুলিশ। ইতিমধ্যে কসবা কাণ্ডের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, তিন বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে শ্বাসরোধের কারণে। কিন্তু তাঁকে কে খুন করেছেন, বাবা না মা, সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। সুইসাইড নোটে লেখা অন্যান্য পাওনাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে। আড়াই বছরের অসুস্থ ছেলের রুদ্রনীলকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর এই যে তার মা-বাবা আত্মহত্যা করেছেন এখনও পর্যন্ত সেই অনুমানই করছে পুলিশ। তবে শুধুমাত্র সম্পত্তিগত বিবাদ নাকি সন্তানের অসুস্থতার কারণে বাড়তে থাকা অবসাদেই আত্মহননের সিদ্ধান্ত সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।