২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ের (Susunia Hills) আগুনে নিয়ন্ত্রণ আনল বন দফতর (forest department)। তবে সচেতন থাকছে বন দফতর ও স্থানীয় প্রশাসন। একদিকে আগুন লাগার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এড়াতে, অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে বন দফতরের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে জেলা পুলিশও।

বৃহস্পতিবার সকালের দিকে লাগা শুশুনিয়া পাহাড়ের (Susunia Hills) আগুনে গোটা এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। প্রবল রোদে সেই আগুন আরও ছড়িয়ে পড়তে থাকে। রাতের দিকেও ব্যাপকভাবে জ্বলতে থাকে আগুন (forest fire)। বন দফতরের প্রায় ১০০ কর্মী আগুন নেভানোর কাজে নিযুক্ত হন। শুক্রবার বেলার দিকে আগুন সম্পূর্ণভাবে নিভে যায় বলে জানানো হয় বন দফতরের তরফ থেকে।

২০২৪ সালে যে আগুন (forest fire) লেগেছিল শুশুনিয়া পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় তা চারদিন ধরে জ্বলেছিল। বেশ কিছু গ্রাম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। তবে এবার একেবারে প্রথম থেকে দক্ষ হাতে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করে বন দফতর। এই কাজে জেলা পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেছে বন দফতর। সেই সঙ্গে উপযুক্ত কর্মী দিয়ে অগ্নি নির্বাপণ দফতরের (Fire Brigade) সাহায্যেরও উল্লেখ করা হয়।

তবে আগুন নিভে যাওয়াতেই যে বিপদ কেটে যাচ্ছে, এমনটা নয় বলেই দাবি করছে বন দফতর। ২৪ ঘণ্টা এলাকায় নজরদারির জন্য বিশেষ ক্যাম্প (monitoring camp) বসাচ্ছে বন দফতর (forest department)। সেখানে ২০ জনের একটি দল সব সময় উপস্থিত থাকছে, যার মধ্যে পুলিশ কর্মীরাও থাকছে। নিয়মিত নজরদারি চালানো হবে যাতে মনুষ্যসৃষ্ট বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে চালানো হবে সচেতনতাও। ফরেস্ট ফায়ারে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়ে এগোবে বন দফতর, এমনটাও দাবি করা হয়েছে আধিকারিকদের তরফে।
–

–

–

–

–

–

–
