একদিকে রাষ্ট্রপতি শাসন। অন্যদিকে অস্ত্র সমর্পণের হুশিয়ারি। কোনভাবেই মনিপুরে (Manipur) রাজনৈতিক সুস্থতা আনতে কোনো রকম চেষ্টা দেখা যাচ্ছে না মোদি সরকারের পক্ষ থেকে প্রশাসনের অস্ত্র সমর্পণের (arms surrender) সময়সীমা শেষ হতেই যার ফলে ফের একবার উত্তপ্ত মনিপুর। এক মৃত্যু ও বহু আহত হওয়ার পাশাপাশি ফের একবার মনিপুরের কুকি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন (lockdown) জারি করল কুকিদের সংগঠনগুলি।

প্রায় দু বছর ধরে চলা মণিপুরের জনজাতির অশান্তির থামাতে কোনভাবেই সদর্থক ভূমিকা নেয়নি বিজেপি শাসিত কেন্দ্রের সরকার। আলোচনা বা প্রশাসনিক পদক্ষেপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কোন চেষ্টাই করেনি বিজেপি, অভিযোগ মেইতি (Meitei) ও কুকি (Kuki) উভয় জনজাতিগোষ্ঠীর। মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে এন বীরেন সিং (N Biren Singh) পদত্যাগ করার পরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হলেও নতুন সরকার গঠনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। উপরন্ত অস্ত্র সমর্পণের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়।

সময়সীমা পেরানোর পর গোটা মনিপুরে অবাধ যান চলাচলের নির্দেশ জারি হয়। এরপরই কুকি অধ্যুষিত এলাকায় শুরু হয় অশান্তি। কুকি (Kuki) অধ্যুষিত কাংপোকপি (Kangpokopi) এলাকায় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথবাহিনীকে আটকে দেয় স্থানীয়রা। পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। জোর করে পুলিশ ঢুকতে চাইলে শুরু হয় পাথরবৃষ্টি।

শনিবারের অশান্তির ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪০ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ কুকি যুবকের। আহতদের মধ্যে পুলিশের কর্মীও রয়েছেন। কুকি গোষ্ঠীর আহতদের মধ্যে মহিলারাও রয়েছেন। এই অশান্তির পরেই নির্দিষ্টকালের জন্য কুকি (Kuki) অধ্যুষিত এলাকা ও বাফার এলাকায় লকডাউনের ঘোষণা করে কুকিদের সংগঠনগুলি। অন্যদিকে শান্তি বজায় রাখতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর টহলদারিও।
–

–

–

–

–

–

–
