সোমবার থেকে টানা কর্মসূচি, লন্ডন পৌঁছেই প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী

লন্ডনের মাটি যখন ছুঁল তখনও মেঘলা আকাশ, সঙ্গে বৃষ্টি। তাপমাত্রা ৯ -এর ঘরে। কনকনে ঠাণ্ডা। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Oxford)আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লন্ডনে এসেছেন বাংলার কথা বলতে।

কুণাল ঘোষ, সফরসঙ্গী

রবিবার সকাল সাতটায় (ভারতীয় সময় বেলা সাড়ে বারোটা) লন্ডন পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দুবাই থেকে মাঝরাতে রওনা হয়ে পৃথিবীর বৃহত্তম যাত্রীবাহী এ-৩৮০ এয়ারবাস যখন লন্ডনের আকাশে প্রবেশ করছে তখন তুমুল বৃষ্টি চলছে। লন্ডনের মাটি যখন ছুঁল তখনও মেঘলা আকাশ, সঙ্গে বৃষ্টি। তাপমাত্রা ৯ -এর ঘরে। কনকনে ঠাণ্ডা। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Oxford)আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লন্ডনে এসেছেন বাংলার কথা বলতে। নারী সশক্তিকরণের কথা বলতে। আগামিকাল সোমবার ভারতীয় হাইকমিশনের আমন্ত্রণে সেখানে অনুষ্ঠান রয়েছে। মঙ্গলবার রয়েছে ব্রিটিশ বণিকসভার সঙ্গে শিল্পপতিদের নিয়ে লগ্নি বৈঠক। বুধবার সরকারি স্তরে বাণিজ্য বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেলগ কলেজে ‘বাংলার নারীর ক্ষমতায়ণ ও সাফল্য’নিয়ে বক্তৃতা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে একটা দিন ঠাসা কর্মসূচি তাঁর। রবিবার লন্ডন পৌঁছনোর কিছু সময় পর থেকেই একাধিক ফাইলে চোখ রাখতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। দফায় দফায় ডেকে নেন তাঁর সঙ্গে আসা মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, শিল্পসচিব বন্দনা যাদব, প্রিন্সিপাল সচিব গৌতম সান্যালদের। ফাইল ধরে ধরে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন। শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে চলে প্রস্তুতি বৈঠক। কারণ সামনের তিন-চারটে দিনের একাধিক কর্মসূচিতে বাংলাকে তুলে ধরাই হবে প্রধান কাজ। ফলে বাংলার শিল্প-বাণিজ্য থেকে শুরু করে অর্থনীতি, সংস্কৃতি সবকিছু নিয়েই একটা হোমওয়ার্ক করে নেওয়া। কারণ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলা এখন অন্যতম সেরা গন্তব্য হয়ে উঠেছে।

শনিবার কলকাতা থেকে রাত ৮.২০-র বিমানে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। মাঝরাতে দুবাই পৌঁছন। সেখান থেকেই লন্ডনের বিমান ধরেন। বাকিংহ্যাম প্যালেসের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে সেন্ট জেমস কোর্ট হোটেল উঠেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দুবাইয়ে বিমানে ওঠার পর তাঁর সম্মানে একটি বিশাল কেক উপহার দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। যাত্রীদের মধ্যেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে যথেষ্ট ঔৎসুক্য ছিল। এই লন্ডন সফরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এসেছেন একটি শিল্পপ্রতিনিধি দল, সাংবাদিক এবং সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টরা।দীর্ঘদিন বাদে বিলেতের মাটিতে দাঁড়িয়ে ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলার জয়গান করতে শোনা যাবে। এদেশের প্রবাসী ভারতীয় এবং বিশেষ করে প্রবাসী বাঙালিরা মুখিয়ে আছেন মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনতে। তাঁদের প্রাণের বাংলাকে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন মা-মাটি মানুষের সরকার কীভাবে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাচ্ছে তা তাঁরা লন্ডনে বসে খবরে কিংবা আত্মীয়স্বজনের কাছে শোনেন। এবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে সরাসরি শুনবেন। অপেক্ষায় লন্ডন।