দীর্ঘ টালবাহানা ও নাটকের পর এবার আদালতে কলকাতা পুলিশের তদন্তে সিলমোহর দিল সিবিআই। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে (R G Kar Medical College And Hospital) তরুণী চিকিৎসক-পড়ুয়াকে ধর্ষণ করা হয়েছিল, নাকি গণধর্ষণ? শুনানিতে জানতে চেয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ (Tirthankar Ghosh)। শুক্রবার, তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই হাই কোর্টে জানাল, গণধর্ষণ করা হয়নি অভয়াকে। দোষী একজনই।

আদালতের নির্দেশ মেনে শুক্রবার হাই কোর্টে (Calcutta High Court) কেস ডায়েরি নিয়ে যায় CBI। সেই সঙ্গে স্টেটাস রিপোর্টও জমা দেয় গোয়েন্দা সংস্থা। আর তাতেই প্রমাণের কথা উল্লেখ করে সিবিআই জানিয়েছে, এটা ধর্ষণের ঘটনা। এদিন বিচারপতি ঘোষ জানতে চান, যদি গণধর্ষণ হয়ে থাকে, তাহলে তদন্তে কি আর কারও নাম পাওয়া গিয়েছে? সিবিআই জানায়, ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সব প্রমাণ ফরেন্সিকে পাঠানো হয়েছিল। ১৪ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের টিম খতিয়ে দেখে জানিয়েছে, এটা গণধর্ষণ নয়, একজনই এই কাজ করেছে। ফরেনসিক বিভাগের তদন্তে উঠে এসেছে, একজনই ওই ঘৃণ্য় কাজ করেছে।

সিবিআই-এর আইনজীবী এদিন আদালতে জানান, ইতিমধ্যেই হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত সব নার্স ও চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তথ্য প্রমাণ লোপাটে আর কেউ জড়িত কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও খবর: আদালতে ৩ পাতার ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ জমা দিল CBI, নজরে ৩ জনের কল ডিটেলস

খুন-ধর্ষণের ঘটনায় কলকাতা পুলিশ কতদূর পর্যন্ত তদন্ত করেছিল সেই কেস ডাইরি এদিন সিবিআইকে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত। পাশাপাশি, ময়নাতদন্ত রিপোর্টে, ইনকোয়েস্ট রিপোর্টে কী উল্লেখ করা হয়েছিল ও এখন পর্যন্ত কতজন সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই সেই তালিকা আগামী ২৩ এপ্রিল আদালতে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানতে চেয়েছেন, সিবিআই কেন তদন্তে আর এগোতে পারছে না, কেন তাদের এতো সময় লাগছে সেটা রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে আগামী শুনানিতে।


–


–

–

–

–
–
