এপিক কার্ড নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কারচুপির পর্দাফাঁস করেছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। তাই বাংলা থেকেই নিজেদের উপর লাগা দাগ মুছতে মরিয়া কমিশন (Election Commission of India)। আসন্ন নদিয়ার কালিগঞ্জ উপনির্বাচনকে (Kaliganj byelection) হাতিয়ার করে নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ কাটিয়ে উঠতে মরিয়া কমিশনের আধিকারিকরা। কমিশন সূত্রে খবর, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে এই বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। তার আগেই এই কেন্দ্রের ভোটার তালিকা (voter list) সংশোধন করে ফেলতে চাইছে কমিশন।

তৃণমূল বিধায়ক নাসিরুদ্দীন আহমেদের প্রয়াণে কালিগঞ্জে উপনির্বাচন অনিবার্য। এই উপনির্বাচনে ভোটার তালিকা নিয়ে যাতে কোনরকম বিভ্রান্তি তৈরি না হয় সেজন্য রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলির কাছে সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (CEO) দফতর। এপিক কার্ড ইস্যুতে শুক্রবার ডাকা সর্বদল বৈঠকে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছে বুথ লেভেল এজেন্ট বা বিএলএ (BLA) নিযুক্ত করার আর্জি জানিয়েছেন রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দিব্যেন্দু দাস।


আগামী ৮ ই এপ্রিল থেকে ওই বিধানসভা কেন্দ্রে বিশেষভাবে ভোটার তালিকা (voter list) সংশোধনের কাজ শুরু হচ্ছে। যা চলবে ১৫ ই মে পর্যন্ত। কমিশন সূত্রে খবর, একদিকে যেমন সরকারি আধিকারিক অথবা বুথ লেভেল অফিসাররা, ভোটার তালিকা সংশোধন বা পরিমার্জনের কাজ করবেন। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলির বুথ লেভেল এজেন্টরাও (BLA) সে কাজে তাদের সহযোগিতা করবেন। কমিশনের বক্তব্য, তাঁদের প্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা যৌথ উদ্যোগে এই সংশোধিত ভোটার তালিকা তৈরি করবেন। যাতে নতুনভাবে তৈরি হওয়া ভোটার তালিকা নিয়ে কোন রকমের বিভ্রান্তি তৈরি না হয়।

–


–

–

–

–

–

–

–
