পছন্দ না হলেই অধিকারে হস্তক্ষেপ! গুজরাট হাইকোর্টকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

গুজরাট হাইকোর্টকে (Gujarat High Court) সুপ্রিম কোর্টের বার্তা, অনেক সময়ই বিচারক কোন ব্যক্তির বক্তব্য বা লিখিত কথা পছন্দ না করতে পারেন

আদালতের কাজ মৌলিক অধিকার (fundamental rights) রক্ষা করে ভারতের সংবিধানকে প্রতিষ্ঠা করা> কারো বক্তব্য বা লিখিত বিষয়বস্তুতে ব্যক্তিগত আপত্তি থাকলেও মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা নিয়ে মোদি রাজ্যের হাইকোর্টকে তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। গুজরাটের কংগ্রেস সাংসদ ইমরান প্রতাপগড়ির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের নিয়ে গুজরাট পুলিশ ও গুজরাট হাইকোর্টকে (Gujarat High Court) কড়া জবাব বিচারপতি অভয় এস ওকা ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঁইয়ার ডিভিশন বেঞ্চের।

কংগ্রেস সাংসদের একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে (instagram post) একটি কবিতা ব্যবহার করাকে কেন্দ্র করে গুজরাট পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। গুজরাট হাইকোর্ট সেই এফআইআর দায়েরের অনুমতি দেয়। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কংগ্রেস সাংসদ। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতেই মোদি রাজ্যের পুলিশ ও হাইকোর্টকে কড়া বার্তা শীর্ষ আদালতের।

আদালতের পর্যবেক্ষণ, পুলিশের দায়িত্ব নাগরিকদের অধিকার রক্ষা করা। সেই সঙ্গে মানুষ হিসাবে ভারতের সংবিধান মেনে চলাও তাঁদের কাজ। সংবিধানের প্রস্তাবনাতেই বলা রয়েছে চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা আমাদের সংবিধানের আদর্শ।

সেই সঙ্গে গুজরাট হাইকোর্টকে (Gujarat High Court) সুপ্রিম কোর্টের বার্তা, অনেক সময়ই বিচারক কোন ব্যক্তির বক্তব্য বা লিখিত কথা পছন্দ না করতে পারেন। কিন্তু তাঁর দায়িত্ব সংবিধানের ১৯(১) ধারা অনুযায়ী মৌলিক অধিকারকে রক্ষা করা। একটি আদালত স্বতঃস্ফূর্তভাবে নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষা করবে, এটাই হওয়া উচিত।

কোন বক্তব্য বা লিখিত কথা কখনওই বিচার হবে না, তাতে কোনও ব্যক্তি কতটা নিরাপত্তাই হীনতায় ভুগবেন, তার ভিত্তিতে, মত সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। এই মামলায় আগেই জামিন পেয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ। এবার তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআরও খারিজ হল।