ওড়িশার কটকের কাছে লাইনচ্যুত গোটা কামাখ্যা এক্সপ্রেস (Kamakhya AC SF Express)। দেশের অন্যতম বৃহৎ রুটের এই ট্রেনে বিপুল সংখ্যক যাত্রী সেই সময়ে ট্রেনে ছিলেন। দুর্ঘটনার ফলে আতঙ্কে দ্রুত ট্রেন থেকে ঝাঁপিয়ে নেমে পড়েন যাত্রীরা। ঘটনায় মৃত্যু বাংলার এক যুবকের। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ইঞ্জিনের সমস্যা থেকে চৌদওয়ার স্টেশনের কাছে প্রথমেই ট্রেনের গতি কমে যায়। এরপরই প্রবল ঝাঁকুনি দিয়ে ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। এরপরই দেখা যায় ১১ টি বগিই লাইনচ্যুত (derailed) হয়ে গিয়েছে। যদিও প্রবল গরমে দীর্ঘক্ষণ লাইনের উপর অপেক্ষা করে ভোগান্তির শিকার হতে হয় যাত্রীদের। রেলের তরফ থেকে বিকল্প উপায়ে ফেরা নিয়ে কোনও নির্দেশ না দেওয়ায় হয়রানির শিকার হন যাত্রীরা।

রবিবার বেলা ১২টা নাগাদ বেঙ্গালুরু থেকে অসমের কামাখ্যার উদ্দেশে রওনা দেওয়া কামাখ্যা এক্সপ্রেস (Kamakhya Express) কটকের (Cuttack) নেরগুন্ডি স্টেশন পার হওয়ার পরই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রবল ঝাঁকুনি অনুভব হতেই সতর্ক হয়ে যান যাত্রীরা। এরপরই কান ফাটা শব্দ করে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে যায়। ভয়ে ট্রেন থেকে লাফিয়ে পাশের জমি ও রেল ট্যাকে নেমে পড়েন যাত্রীরা। ঘটনায় অন্তত সাত জন আহত হয়েছেন। বার্থ থেকে ছিটকে পড়ার কারণে অনেকে আহত হন।

এই ঘটনায় মৃত্যু হল আলিপুরদুয়ারের যুবকের। ওই ট্রেনেই ছিলেন আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বাসিন্দা শুভঙ্কর রায়। এখনও পর্যন্ত রেলের দাবি, ঘটনায় একজনেরই মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহতদের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। জানা যায়, ট্রেন বেলাইন হতেই প্রবল ঝাঁকুনিতে শুভঙ্করের কাঁধে বার্থের আঘাত লাগে। দুর্ঘটনার পরে ওড়িশা প্রশাসনের অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

দুর্ঘটনার পরে ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হতে হয় যাত্রীদের। বেঙ্গালুরু থেকে কামাখ্যা পর্যন্ত দীর্ঘ রেলপথে এই ট্রেনের যাত্রীর সংখ্যাও প্রচুর। কিন্তু উদ্ধারকারী ট্রেন পৌঁছাতে প্রায় তিন ঘণ্টা লেগে যায়। প্রবল গরমে শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে যাত্রীরা খোলা আকাশের নিচেই অপেক্ষা করেন রেলের অব্যবস্থার কারণে।


–


–

–

–

–
–

–
