বার্ষিক নিয়ম মেনে উৎপাদক সংস্থাদের অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম ১.৭৪% পর্যন্ত বৃদ্ধির ছাড়পত্র দিল কেন্দ্রীয় সরকার।২০১৩–র কেন্দ্রীয় ড্রাগ প্রাইস কন্ট্রোল অর্ডার (ডিপিসিও) মেনেই ওষুধের দামে এই মূল্যবৃদ্ধির নতুন ঊর্ধ্বসীমা ধার্য হতে চলেছে দেশের ৭৪৮টি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ ও তার বিভিন্ন প্যাকেজিং ও ফর্মুলেশনের উপর। একই নিয়মে অভিন্ন হারে বাড়ছে স্টেন্ট–সহ বিভিন্ন কার্ডিয়াক ও অর্থোপেডিক ইমপ্লান্টের দামও।

আগামিকাল, মঙ্গলবার থেকে বাড়তে চলেছে ওষুধের দাম। তার মধ্যে রয়েছে প্রেশার, সুগার, গ্যাস, জ্বর, বমি, রক্ত পাতলা করা, হাঁপানি, সিজোফ্রেনিয়া সহ মানসিক ওষুধ, এইডস-এর মতো রোগের একাধিক ওষুধ৷১ এপ্রিলের পর ওষুধ নির্মাতা সংস্থাদের জন্য নতুন বর্ধিত এমআরপির ওষুধ বাজারজাত করে পুরোনো এমআরপির ওষুধ বাজার থেকে তুলে নেওয়ার সবুজ সঙ্কেতও দেওয়া হয়েছে৷

এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ওয়ুধের দাম বাড়া মানে সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা। কেন্দ্রীয় সরকার সেই কাজটাই করছে। এমনিতেই দেশের আর্থিক অবস্থা খারাপ। এ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের ওপর থেকে বোঝা কমাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করেছেন, ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান করেছেন।

এই অপরিহার্য ওষুধের তালিকায় রয়েছে বেশ কিছু নিত্য ব্যবহার্য প্যারাসিটামলের মতো ওষুধ৷ তার পাশাপাশি ব্যাক্টিরিয়া সংক্রমণ রোধে ব্যবহৃত অ্যাজিথ্রোমাইসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি-অ্যানিমিয়া মেডিকেশন, ভিটামিন, মিনারেলস এবং কিছু নির্দিষ্ট স্টেরয়েড।অল ইন্ডিয়া অর্গানাইজেশন অফ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস–এর সাধারণ সম্পাদক রাজীব সিঙ্ঘল বলেন, ওষুধ উৎপাদনের প্রায় সব কাঁচামালের দামই বেড়েছে। তাই মূল্যবৃদ্ধির এই অনুমোদনটা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আশা করছি, মাস দুয়েকের মধ্যে সব নতুন এমআরপির ওষুধ বাজারে এসে যাবে।


এনপিপিএ–র তরফে জানানো হয়েছে, মূল্যবৃদ্ধির এই অনুমোদন কার্যকর হচ্ছে ন্যাশনাল লিস্ট অফ এসেন্সিয়াল মেডিসিন (এনএলইএম) বা অত্যাবশ্যকীয় ৭৪৮টি ফর্মুলেশনের উপর। এই ওষুধগুলির উৎপাদনে যাতে উৎপাদকরা অসুবিধায় না পড়ে, সে জন্যই এই বার্ষিক অনুমোদনের ব্যবস্থা।


–

–

–

–
–

–

–
–