সংবিধান সংশোধনী নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েন! বুধবার সুপ্রিম কোর্টে নজর ফেডারেশনের

সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সংবিধান সংশোধনী নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েনে অবশেষে হয়তো যবনিকা পড়তে চলেছে বুধবার। নতুন সংবিধান (গঠনতন্ত্র) তৈরি না হওয়ায় ২০২২ সালে নির্বাচন করে কল্যাণ চৌবের নেতৃত্বাধীন কমিটিকে এআইএফএফ চালানোর অন্তর্বর্তী দায়িত্ব দিয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে খসড়া সংবিধান তৈরি করে সর্বোচ্চ আদালতে জমা দিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নাগেশ্বর রাও। সংবিধান সংশোধনী তৈরিতে তিনি ফিফা, এএফসি, রাজ্য সংস্থা, ক্লাব-সহ ফেডারেশনের স্পনসরেরও মতামত নেন। গত ২৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে শেষ শুনানিতে বিচারপতি পিএস নরসিমা ও জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চ জানিয়ে দেন, এই ব্যাপারে তাঁরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন ২ এপ্রিল। তবে রায় ঘোষণা হতে পারে পরের দিন।

সুপ্রিম কোর্ট নতুন সংবিধানকে অনুমোদন দিলে দিল্লির ফুটবল হাউসের প্রশাসনে বড় রদবদল ঘটে যাবে। খসড়া সংবিধানে ১৫ সদস্যের কার্যকরী কমিটিতে কমপক্ষে পাঁচজন জাতীয় দলের প্রাক্তন খেলোয়াড়কে অন্তর্ভুক্ত করা এবং অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে পদাধিকারীদের অপসারণের বিধানও রাখা হয়েছে। নতুন সংবিধান স্বীকৃতি পেলে ক্ষমতা কমবে রাজ্য সংস্থাগুলোর। গুরুত্ব পাবেন প্রাক্তন ফুটবলার, কোচ, রেফারি, আইএসএল, আই লিগের ক্লাবগুলোর প্রতিনিধিরা। তাঁদের ভোটাধিকারের ক্ষমতা থাকবে। বর্তমান কমিটির মেয়াদ রয়েছে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট দ্রুত নতুন সংবিধান কার্যকর করার নির্দেশ দিলে নির্বাচন হতে পারে আগামী ৪-৬ মাসের মধ্যে। বুধবার একই দিনে আবার দিল্লি হাইকোর্টে মামলা রয়েছে ফেডারেশনের সাধারণ সচিব পদে সাজি প্রভাকরণকে সরিয়ে অনিল কুমারকে নিয়োগ করার বৈধতা নিয়ে। এমনিতে ফেডারেশনের মামলায় তাদের পার্টি করা নিয়ে ক্ষুব্ধ এফএসডিএল। এআইএফএফ-এর সঙ্গে চুক্তি নবীকরণের শর্তও আরোপ করেছে রিলায়েন্স। ফলে ঘোর সঙ্কটে দেশের ফুটবল।

আরও পড়ুন – অসম্মানজনকভাবে ভারতীয়দের দেশে ফেরানো! মোদি সরকারের সমালোচনা সংসদীয় স্থায়ী কমিটির

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_