দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হতেই সতর্ক দেশের শীর্ষ আদালতে। কলেজিয়ামের তরফ থেকে দিল্লি হাইকোর্টের একাধিক বিচারপতিদের সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া শুরু হতেই দেশের একাধিক হাইকোর্ট থেকে প্রতিবাদে সামিল আইনজীবীরা। সব ক্ষেত্রেই বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত বিচারপতিদের স্থানান্তরিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মাকে (Dinesh Kumar Sharma) স্থানান্তরিত করায় প্রতিবাদ শুরু শহরের তিন আইনজীবী সংগঠনের।

মঙ্গলবারই কলেজিয়ামের (collegium) তরফ থেকে বিচারপতি দীনেশ শর্মাকে কলকাতা হাইকোর্টে স্থানান্তরিত করার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। এরপরই প্রতিবাদে সামিল তিন সংগঠন – ইনকর্পোরেটেড ল সোসাইটি অফ ক্যালকাটা, বার লাইব্রেরি ক্লাব ও হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে (CJI Sanjeev Khanna) সিদ্ধান্ত পুণর্বিবেচনার আবেদন জানান তাঁরা প্রথমেই। সেই সঙ্গে কর্মবিরতির পথেও যান কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীরা।

আইনজীবীদের অভিযোগ, দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) বিচারপতি দীনেশ শর্মার নামে বেনিয়মের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। ২০২৪ সালের অক্টোবরে সেই সব অভিযোগ সামনে এসেছে। রস্টার সংক্রান্ত বেনিয়মে অভিযুক্ত বিচারপতি শর্মা, দাবি আইনজীবীদের। সেই বিচারপতিকে কেন কলকাতা হাইকোর্টে সরানো হল, ক্ষোভ আইনজীবীদের। ইতিমধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের আগে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এমন এক বিচারপতিকে প্রত্যক্ষ করেছে, যিনি আগে থেকে রাজনৈতিক দলের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট ছিলেন। এই ধরনের বিচারপতিদের জন্য দেশের অন্যতম প্রাচীন হাইকোর্টের সুনাম নষ্ট হচ্ছে বলেও দাবি করেন আইনজীবীরা।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে (CJI Sanjeev Khanna) লিখিত আবেদন করার পাশাপাশি মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে কর্মবিরতি পালন করেন আইনজীবীরা। অভিযুক্ত বিচারপতিকে কলকাতা হাইকোর্টে মেনে নেওয়া হবে না বলে দাবি জানান আইনজীবীরা। তৃণমূল আইনজীবী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, এই বিচারপতির বিরুদ্ধে প্রশ্ন আছে। তাকে কেন কলকাতা হাইকোর্টে স্থানান্তরিত করা হবে। দেড় দুবছরের জন্য কেন কলকাতা হাইকোর্টে কেন পাঠানো হচ্ছে। কোনও অসৎ বিচারপতিদের কলকাতা হাইকোর্ট নেবে না। কলকাতা হাইকোর্টকে ডাম্পিং গ্রাউন্ড করা যাবে না।


–


–

–

–

–
–

–
