মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ভূমিকম্প প্রাণ কেড়েছে প্রায় আড়াই হাজার মানুষের। তীব্র এই ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গেছে একাধিক শহর এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। মায়ানমারের বৃহত্তম শহর মান্ডলয়সহ বিভিন্ন অঞ্চলে অবকাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

ইসরো স্যাটেলাইট কার্টোস্যাট-৩ ব্যবহার করে মহাশূন্য থেকে মায়ানমারের বিপর্যয়ের চিত্র তুলেছে। স্যাটেলাইট ছবি থেকে স্পষ্টভাবে দেখা গেছে, ভূমিকম্পের পর মায়ানমারের মানচিত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে। ভূমিকম্পের আগে যেখানে ছিল গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলি, সেখানে এখন শুধুই ধ্বংসস্তূপ। এর মধ্যে রয়েছে মান্ডলয় বিশ্ববিদ্যালয়, ফায়ানি প্যাগোডা, মহামুনি প্যাগোডা, স্কাই ভিলা, আনন্দ প্যাগোডাসহ একাধিক ঐতিহাসিক স্থান।

একইসাথে, ইরাবতী নদীর গতিপথও পরিবর্তিত হয়ে গেছে। ইন ওয়া শহরের কাছে ঐতিহাসিক আভা সেতুটি ভেঙে পড়েছে এবং নদীর প্লাবনভূমিতে ফাটল দেখা দিয়েছে।

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মায়ানমারের সাগাইং শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। রিখটার স্কেলে ৭.৭ মাত্রার কম্পনে সৃষ্ট ধ্বংস শুধু মায়ানমারে সীমাবদ্ধ থাকেনি, ভারত ও বাংলাদেশেও তার প্রভাব পড়েছে। এ ছাড়াও, থাইল্যান্ডেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনা মায়ানমারের জন্য এক বড় বিপর্যয়, যা সেখানকার মানুষের জীবনে চিরস্থায়ী ক্ষত রেখে যাবে।


আরও পড়ুন – বইমেলা আসলে বই পার্বণ: ‘বইপাড়ায় বই উৎসব’-এর সূচনায় বললেন সঞ্জীব


_

_

_

_
_

_

_