রামনবমীকে (Ram Navami) ‘রাজনৈতিক ইভেন্ট’ হিসেবে কাজে লাগাতে রবিবার রাজ্যজুড়ে একগুচ্ছ মিছিলের আয়োজন ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) । কোথায় কোথাও আবার অস্ত্র নিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির অহংকারও দিয়েছেন গেরুয়া নেতারা। বেশ কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের মিছিলও হবে। মহানগরীর বুকেই প্রায় ৬০ টি মিছিলের তালিকা জমা পড়েছে। ধর্মীয় সুড়সুড়ি দিয়ে সাম্প্রদায়িক অশান্তি তৈরি করার যে অপচেষ্টা পদ্ম শিবিরের, তা রুখতে তৈরি লালবাজার (Kolkata Police)। শুধু কলকাতায় প্রায় ৪ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। বিশেষ দায়িত্বে থাকছেন পদস্থ আধিকারিকেরা। রাজ্য জুড়ে ২৯ জন আইপিএস অফিসারকে রামনবমী উপলক্ষে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন তাঁরা। পাশাপাশি ড্রোন নজরদারিও চলবে। রাজ্যজুড়ে আড়াইশোটির বেশি মিছিল হবে।

অশান্তির আশঙ্কা থাকায় সর্বোচ্চ প্রশাসনিক স্তরে নজরদারি চালানোর জন্য এবার নবান্নও খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।সেখানে বসে নিজে সবদিক নজরে রাখবেন এডিজি, আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম। থাকবেন পুলিশের অন্যান্য শীর্ষ কর্তারাও।রাজভবনের তরফেও খোলা হচ্ছে পিস রুম। কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) তরফে বিভিন্ন থানাকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রবিবার মহানগরীর উত্তর থেকে শুরু করে দক্ষিণ, মধ্য সব জায়গায় রামনবমীর মিছিল বেরবে। পুলিশ কমিশনারের (CP) নির্দেশ, মিছিলে থাকা পুলিশ আধিকারিক ও পুলিশকর্মীদের শরীরে ‘প্রোটেকটিভ গিয়ার’ রাখতে হবে। আকাশপথে ড্রোনের মাধ্যমে মিছিলগুলির উপর নজর করা হবে। মিছিলের সামনে ও পিছনে হাঁটবে পুলিশ। থাকবে পুলিশের গাড়ি। মিছিল যাওয়ার রাস্তাগুলির আশপাশের রাস্তাতেও থাকবে পুলিশের টহল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো পোস্ট দিয়ে প্ররোচনা কিংবা কোথাও কোনও অশান্তির খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে থানায় জানানোর কথাও বলা হয়েছে।

–

–


–


–

–

–

–
–

–
