Friday, August 22, 2025

অযোগ্যদের সঙ্গে যোগ্যদের মিলিয়ে দেওয়া অবিচার: তৃণমূলের সুরে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি রাহুলের

Date:

রাজ্যের চাকরিহারা শিক্ষক সমাজের হয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে সওয়াল লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi)। অযোগ্যদের সঙ্গে যোগ্যদের মিলিয়ে ফেলে বিচারের রায় শোনানো হলে তা যে চূড়ান্ত অবিচার, তা উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের (President) রায়ের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (President Draupadi Murmu) হস্তক্ষেপের আবেদন জানান রাহুল। সেই সঙ্গে একসঙ্গে এই বিপুল পরিমাণ শিক্ষক-শিক্ষিকা বাংলার স্কুলগুলি থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে সমস্যায় পড়বে পড়ুয়ারা। কার্যত যে চিন্তাভাবনা থেকে চাকরিহারা শিক্ষক সমাজের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের জন্য সদর্থক পদক্ষেপ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), সেই পথেই এবার রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ লোকসভার (Loksabha) বিরোধী দলনেতা।

সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পরে রাজ্য সরকার রায় পুনর্বিবেচনার পথে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায় পুনর্বিবেচনায় অনুরোধের বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে রাষ্ট্রপতির। সেক্ষেত্রে তাঁকেই এই বিষয়ে হস্তক্ষেপের অনুরোধ করেন রাহুল। তিনি আবেদনে উল্লেখ করেন কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট – উভয়ের রায়কেই। যেখানে বলা হয়েছে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কিছু অযোগ্য (tainted) প্রার্থী চাকরি পেয়ে থাকলেও যোগ্যরাও (untainted) রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মী হিসাবে। সেক্ষেত্রে যাঁরা যোগ্য (untainted) তাঁদের অযোগ্যদের (tainted) সঙ্গে একই সারিতে বিচার করা অত্যন্ত অবিচার (injustice) হবে।

সেই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, যারা অপরাধী তাঁদের কোনও মতেই ছাড় দেওয়া উচিত নয়। তবে যাঁরা যোগ্য হিসাবে শিক্ষকতা করেছেন তাঁদের আচমকা শিক্ষকতা থেকে বসিয়ে দিলে তাঁদের নৈতিক মূল্যবোধের উপর চরম আঘাত করা হবে। সেক্ষেত্রে রাহুল (Rahul Gandhi) উল্লেখ করেন, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Draupadi Murmu) নিজে একজন শিক্ষিকা ছিলেন। ফলত, একজন শিক্ষকের জন্য এভাবে চাকরি চলে যাওয়া তাঁর, তাঁর পরিবার এবং পড়ুয়াদের জন্যও কতখানি মারাত্মক, তা বোঝা সম্ভব রাষ্ট্রপতির পক্ষে।

এই প্রসঙ্গেই তিনি উল্লেখ করেন সেই সব পড়ুয়ার কথা, যাদের কথা না ভেবেই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। রাহুল আবেদনে লেখেন, এই শিক্ষকরা প্রায় এক দশক ধরে শিক্ষাদান করেছেন। তাঁদের অনুপস্থিতিতে সেই সব স্কুলের কয়েক লক্ষ পড়ুয়ার শিক্ষকের অভাব হবে। তাই শিক্ষকদের চাকরিতে বহাল থাকার আবেদন যেন রাষ্ট্রপতি পুনর্বিবেচনা করেন, আবেদন রাহুল গান্ধীর।

Related articles

আস্থা কোথায়? প্রধানমন্ত্রীর সভার দিন বুঝিয়ে দিলেন দিলীপ, কটাক্ষ তৃণমূলের

দৃশ্য এক, বিজেপির নক্ষত্রখচিত মঞ্চ। মালা, উত্তরীয়তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) বরণ করছেন একের পর এক বঙ্গবিজেপির...

বাংলা বিদ্বেষীকে পাশে বসিয়ে বাঙালি প্রেম! মোদির দ্বিচারিতাকে ধুইয়ে দিল তৃণমূল

বাংলায় এলেই বাংলা ভাষায় বক্তৃতা। এ তো নরেন্দ্র মোদির রেওয়াজ হয়েছেই। সম্প্রতি তিনি উত্তর ভারতের গোবলয়ের দেব-দেবী ছেড়ে...

রায় বেরোনোর পরেই জয়েন্টের তালিকা প্রকাশ: বোর্ডের কৃতিত্বে আনন্দ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা হাই কোর্ট ওবিসি সংক্রান্ত যে জট দীর্ঘদিন ধরে পাকিয়ে রাখার চেষ্টা করে চলেছিল, শুক্রবার তা প্রতিহত হয়...

বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীর পেনশনের আবেদনও খারিজ! আদালতে মুখ পুড়ল কেন্দ্রের

ইতিহাসকে বিকৃত করার বিজেপি-আরএসএসের যৌথ পরিকল্পনায় চরম দুর্দশা বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের। নরেন্দ্র মোদি মুখে বাঙালি বিপ্লবীদের নাম নিলেও...
Exit mobile version