নববর্ষ মানেই বাঙালির মনে এক বিশেষ আবেগের সঞ্চার। নতুন জামা, মিষ্টির প্যাকেট আর নতুন খাতার গন্ধে মিশে থাকে শৈশবের টান। এই আবেগকে ঘিরে দমদমে শুরু হল ‘দমদম মার্গ সঙ্গীত উৎসব’-এর পঞ্চম সংস্করণ।

শিক্ষামন্ত্রী, বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব ও এলাকার বিধায়ক ব্রাত্য বসু এবং দমদম প্রত্যয় ওয়েলফেয়ার সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান চলবে দু’দিনব্যাপী—শনিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত। নববর্ষকে সামনে রেখে রবীন্দ্র ভবনের মঞ্চে সুরের আবহে ভেসে উঠল বাঙালির ঐতিহ্য।

অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক সুকান্ত সেনশর্মা জানান, “এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য হল সুস্থ সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার। নতুন প্রজন্মকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত করা এবং সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।”

শনিবারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উল্লাস কসলকর, পূর্বায়ণ চট্টোপাধ্যায়, রাকেশ চৌরাসিয়া, রূপ কুমার রাঠোর ও সোনালী রাঠোরের মতো খ্যাতনামা শিল্পীরা। রবিবার মঞ্চে উঠবেন সুজাতা মহাপাত্র, সংযুক্তা দাস, বিদুষী মিতা নাগ, পণ্ডিত দেবাশিস ভট্টাচার্য, পণ্ডিত তন্ময় বোস, বিদুষী অশ্বিনী ভিডে দেশপান্ডে এবং শিবমণি।



মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “দমদমের এই ধ্রুপদী উৎসব এক ঐতিহ্যবাহী ও সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক উদ্যোগ। ভারত ও বিদেশের নামী শিল্পীরা এখানে যোগ দিচ্ছেন। ১৯৩৭ সালে রবীন্দ্রনাথও শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের গুরুত্ব ও আধুনিক গানের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেছিলেন। এই ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের দায়িত্ব।”


দর্শকসারিতে ছিল নানা বয়সের মানুষ। শহরের কোলাহল থেকে কিছুটা দূরে, একখণ্ড শান্ত সুরেলা পরিবেশ যেন গড়ে উঠেছিল দমদমে। বিকেল ৪টা থেকে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠান যেন নববর্ষের এক নতুন ব্যাখ্যা দিল—সুরের মাধ্যমে অতীতের সঙ্গে বর্তমানের সংযোগ।

আরও পড়ুন – বিকাশ ভবনের সামনে প্রচার হচ্ছে না! গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অনশন ‘রাজনৈতিক’ চাকরিহারাদের

_

_
_

_

_