Thursday, August 21, 2025

রায় জনস্বার্থে: আইন তৈরিতে রাষ্ট্রপতিকে সুপ্রিম-নির্দেশ, স্বাগত স্পিকার বিমানের

Date:

Share post:

রাজ্যের বিধানসভায় পাস হওয়া বিলকে আইনে পরিণত করতে আর দেরি করতে পারবেন না রাজ্যপাল (Governor) বা রাষ্ট্রপতি (President)। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের জেরে স্বস্তিতে রাজ্যগুলি বিশেষত বিরোধী রাজনৈতিক দল পরিচালিত রাজ্যগুলি, যাদের ক্ষেত্রে বিলকে আইনে পরিণত হতে রাজ্যপালের মাধ্যমে বারবার বাধা তৈরি করেছে কেন্দ্রের স্বৈরাচারী মোদি সরকার। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর স্বস্তি বাংলাতেও। কারণ ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রায় ২৩ বিল (Bill) আটকে রয়েছে রাজ্যপালের স্বাক্ষরের অপেক্ষায়। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের অপেক্ষাতেও আটকে রয়েছে বিল। নতুন রায়ে বাংলার সেই সব বিল আইনে পরিণত করতে সুবিধা হবে, দাবি রাজ্য প্রশাসনে।

বিলকে আইনে পরিণত করতে সিদ্ধান্ত নিতে রাষ্ট্রপতিকে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ায় স্বস্তির কথা জানালেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে আমরা আনন্দিত। কারণ একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোন বিল (Bill) কার্যকর না হলে তার তাৎপর্য হারিয়ে যায়। আমাদের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা থেকে পাঠানো ২৩ টা বিল রাজ্যপালের কাছে আটকে রয়েছে। এমনকি ২০১৫ সালে পাস হওয়া দিল আটকে আছে। যেশপ (Jessop) এর মতো বিল যেগুলি জনস্বার্থে করা হয়েছিল তা আটকে আছে। সেগুলো কি অবস্থায় আছে তার কোন হদিস আমরা জানি না।

আদতে যে রাজ্যপাল কোনও বিল আটকে রাখতে পারেন না বা সমস্যা থাকলে নোট পাঠাতে পারেন, সেই বিষয়টিও স্পষ্ট করে দেন স্পিকার। তিনি জানান, ভারতীয় সংবিধানের আর্টিকেল ২০১ ধারায় বলা আছে, রাজ্যপালের কাছে কোন বিল বিধানসভা থেকে পাস হয়ে যাওয়ার পর তিনি তাতে সই করে পাঠাবেন। সেখানে তার যদি কোন মত বা কোন অনুসন্ধান থাকে তাও জানাবেন। তার উপর আবার বিধানসভায় আলোচনা হবে। আবার তাকে সেই বিল পাঠানো হবে। তখন তিনি সেই বিল সই করে দিতে বাধ্য থাকবেন।

এমনিতেই সংবিধান অনুযায়ী বলা আছে যে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ৯০ দিন কিংবা কোন কোন ক্ষেত্রে ৬০ দিন কিংবা কোন কোন ক্ষেত্রে ৩০ দিনের মধ্যে যদি কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া না হয় অথবা সেই সম্পর্কে কোনও নোট দেওয়া না হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে সেটি আইনত পাস হয়েছে। এক্ষেত্রে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee) ক্রিমিনাল প্রসিডিংস-এর কথা উল্লেখ করে জানান, অনেক ক্ষেত্রে ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট বা আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে না পারলে ক্রিমিনাল স্ট্যাটুটোরি বেল পেয়ে যায়। মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট যে কথা বলেছেন তাকে স্বাগত জানাচ্ছি এই কারণেই, রাজ্যপালের ক্ষেত্রে যেমন সময় নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে, তেমনই রাষ্ট্রপতির (President) কাছে যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিলগুলি পাঠানো হয় অনুমোদনের জন্য, এবার সময় নির্দিষ্ট করে সেই বিল যদি সই করতে বলা হয়ে থাকে, তাহলে সেটা জনসাধারণের ক্ষেত্রেই অত্যন্ত সুখের খবর। কারণ রাজ্য সরকার কাজ করে মানুষের স্বার্থেই।

spot_img

Related articles

যোগীরাজ্যের পাঠ্যপুস্তকে বাদ কেন রবীন্দ্রনাথকে? সাংসদ ঋতব্রতর প্রশ্নে অস্বস্তিতে কেন্দ্র

উত্তরপ্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কি বাদ দেওয়া হয়েছে? তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নে স্পষ্টতই...

প্রয়াত সিপিএম নেতা-প্রাক্তন মন্ত্রী দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া

প্রয়াত সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া। বুধবার এনআরএস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।...

উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে ডাক মেলেনি! শীর্ষ আদালতে শান্তা দত্ত 

স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউ পর্বে ডাক পাননি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত। যোগ্য হয়েও তাঁকে সুযোগ দেওয়া...

১৫ দিনেই রেকর্ড সাফল্য! রাজ্যে সাড়া ফেলল ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি

মাত্র পনেরো দিনেই নজির গড়ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন কর্মসূচি, ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’। রাজ্যের মানুষের হাতে উন্নয়নের...