বহু বছর পর বাংলা সিনেমায় শতাব্দী! কামব্যাকের নেপথ্যে মৈনাকের ‘বাৎসরিক’

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তাপস পাল, চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর মতো অভিনেতাদের সঙ্গে একসময় দাপিয়ে অভিনয় করা 'গুরুদক্ষিণা' অভিনেত্রী বড়পর্দা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন অনেকদিন আগেই।

বেশ কয়েকবছর পর বাংলা সিনেমায় ফিরছেন শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy)। সৌজন্যে পরিচালক মৈনাক ভৌমিক (Mainak Bhowmik)। বৈশাখের প্রথম দিন সাংসদ-অভিনেত্রীর লুক প্রকাশ্যে আসতেই শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তাঁর অনুরাগীরা। পাশাপাশি ‘বহুরূপী’ অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty) কোন রূপে ধরা দিচ্ছেন তাও এদিন সকলের সামনে এসেছে। ‘মাছ মিষ্টি মোর’ ছবির পরিচালক বলছেন, “ভেবেছিলাম, শতাব্দীদি পারবেন না। কিন্তু ওঁর পরিশ্রম দেখে আমরা চমকে গিয়েছি!”

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তাপস পাল, চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর মতো অভিনেতাদের সঙ্গে একসময় দাপিয়ে অভিনয় করা ‘গুরুদক্ষিণা’ অভিনেত্রী বড়পর্দা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন অনেকদিন আগেই। রাজনীতির মঞ্চে প্রত্যেক দিনের ব্যস্ততার জেরে সেভাবে আর লাইট -ক্যামেরা -অ্যাকশনের মাঝে দেখা যায় না তাঁকে। কিন্তু ‘অভিনেত্রী’ শতাব্দী রায়ের কাজ করার ইচ্ছে এবং ডেডিকেশন যে একই রকম রয়েছে তা বোঝা গেল ‘বাৎসরিক’ সিনেমার শুটিং পর্বে। মৈনাক বলছেন, বর্তমান সময়ে কাজের ধারা বদলেছে টালিগঞ্জে। আগে এক মাস ধরে একটি ছবির শুটিং হত। এখন বড়জোর à§§à§« দিন। আগে শুটিংয়ের মাঝে অবসর মিলত। এখন পরস্পরের দিকে চোখ তুলে তাকানোর সময়টুকুও পান না অভিনেতারা। পরিচালকের টেনশন ছিল শতাব্দী সবটা ম্যানেজ করতে পারবেন কিনা। কিন্তু সাংসদ -অভিনেত্রী কাউকে কোনও অভিযোগের সুযোগ না দিয়ে সব অবস্থা আর পরিবেশের সঙ্গে সাবলীল ভাবে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে কাজ করেছেন। ‘বাৎসরিক’ হাড়হিম করা এক ভূতের গল্প বলবে বড় পর্দায়। কাহিনী অনুযায়ী, স্বামীর মৃত্যুর পর একা হয়ে যাওয়া স্ত্রী এবং তার ননদ বাড়ি বিক্রি করতে চান। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে অলৌকিক সব ঘটনার মুখোমুখি তাঁরা। ভাইয়ের বৌ আর ননদের ভূমিকায় ঋতাভরী ও শতাব্দী। ভৌতিক আবহের পাশাপাশি ননদ -বৌদির কেমিস্ট্রিও ধরা পড়বে এই ছবিতে, যার সিংহভাগ শুটিং হয়েছে দক্ষিণ কলকাতায়। ছবি মুক্তি কবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।