নথি জাল করে পাসপোর্ট (passport) তৈরীর চক্র কতদূর বিস্তৃত তা কলকাতা পুলিশের তদন্তে আগেই উঠে এসেছে। কলকাতা পুলিশের চার্জশিটে নাম দেওয়া হয়েছে অন্তত ১৩০ দিনের। শুধুমাত্র ভারত নয়, বাংলাদেশের নাগরিকদেরও এই চক্রে যোগ পাওয়া গিয়েছিল। এবার জাল পাসপোর্ট তৈরিতে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচারের অভিযোগে রাজ্যের আট জায়গায় তল্লাশিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি (Enforcement Directorate)।

উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটি এলাকায় জাল পাসপোর্ট চক্রের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে মঙ্গলবার সকাল থেকে তল্লাশি চালায় ইডি (ED)। বিরাটির বাঁকড়ার একটি বাড়ি সকাল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী (central force) গিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। ওই বাড়িতে প্রায় একবছর ধরে আজাদ মল্লিক নামে এক ব্যক্তি ভাড়া থাকতেন, বলে জানা যায়। তারই ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। টাকা লেনদেনের সঙ্গে এই আজাদ মল্লিকের যোগ ছিল, দাবি ইডি-র তদন্তকারী আধিকারিকদের।

পাশাপাশি বেকবাগান এলাকাতেও বেশ কয়েকটি জায়গায় মঙ্গলবার সকাল থেকে তল্লাশি চালানো হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বন্ধ বাড়ির তালা ভেঙে তল্লাশি চালাতে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে।

উত্তর ২৪ পরগনার পাশাপাশি নদীয়াতেও পাসপোর্ট চক্রের এক অন্যতম সদস্যের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। গেদের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা অলোক নাথের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর জাল নথি (fake documents)। দীর্ঘদিন ধরে এই বাড়িতে পাসপোর্ট (passport) তৈরির কাজ চলতো বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। প্রায় দশঘণ্টা গেদের বাড়িতে জেরার পরে গ্রেফতার করা হয় অলোককে।



–


–

–

–

–
–

–
