Wednesday, December 17, 2025

শীর্ষ আদালতের ক্ষমতা-এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন! উপরাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হলেন কল্যাণ

Date:

Share post:

এক্তিয়ার ছাড়াচ্ছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়। স্পষ্টভাষায় বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূলের প্রবীণ লোকসভার সাংসদ বিশিষ্ট আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আশ্চর্যজনকভাবে দেশের শীর্ষ আদালতের ক্ষমতা ও এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়৷ নজিরবিহীন ভাবে দেশের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের নিশানা করে বৃহস্পতিবার উপরাষ্ট্রপতি মন্তব্য করেছেন, সুপ্রিম কোর্টের কোনও এক্তিয়ার নেই রাষ্ট্রপতিকে বিলে সই করা নিয়ে কোনও সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার৷ বিচারপতিরা সুপার পার্লামেন্টের মতো কাজ করছেন, তাঁদের কোনও গ্রহণযোগ্যতাই নেই৷ উপরাষ্ট্রপতির এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷

ধনকড়কে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সম্পর্কে যা মন্তব্য করেছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়, তা অত্যন্ত আপত্তিকর এবং আদালত অবমাননার শামিল৷ দেশের সাংবিধানিক পদে আসীন উপরাষ্ট্রপতি অন্য একটি সাংবিধানিক পদে আসীন ব্যক্তিদের প্রতি সম্মান জানাবেন, এটাই হওয়া উচিত৷ উল্লেখ্য, দেশের শীর্ষ আদালতের পায়ে বেড়ি পরানোর জন্য আগেই সচেষ্ট হয়েছে মোদি সরকার৷ দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বাছাই করার সিলেক্ট কমিটি থেকে আগেই বাদ দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে৷ সেখানেই থেমে না গিয়ে কলেজিয়ামের মাধ্যমে বিচারপতি নিয়োগ পদ্ধতি তুলে দেওয়ার কথাও ভাবছে মোদি সরকার৷

এই পরিস্থিতিতে দিন কয়েক আগেই দেশের শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয় একটি বিলে সই করার জন্য সর্বাধিক তিনমাস সময় পাবেন রাষ্ট্রপতি৷ এই সময়ের মধ্যে কোনও বিলে যদি তিনি অনুুমোদন না দেন, তাহলে তার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে রাষ্ট্রপতিকে৷ এর আগে কোনওদিন দেশের শীর্ষ আদালত রাষ্ট্রপতিকে বিলে সই করার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেননি৷ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চের এই রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে বৃহস্পতিবার সরাসরি বিচারপতিদেরই নজিরবিহীনভাবে আক্রমণ করেছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়৷ তাঁর প্রশ্ন, দেশ কোথায় যাচ্ছে? দেশের রাষ্ট্রপতিকে নির্দেশ দিচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা? দেশের আইন কি তাঁদের জন্য প্রযোজ্য নয়? কীভাবে রাষ্ট্রপতিকে নির্দেশ দিতে পারলেন তাঁরা? ঘটনা হল, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড় তাঁর কর্মজীবনে একজন আইনজীবী ছিলেন৷ তিনি সুপ্রিম কোর্টেও প্র্যাকটিস করেছেন৷ এর পরেও তাঁর এমন মন্তব্য?

আরও পড়ুন- বাংলা সম্প্রীতির মাটি! হিংসা না ছড়ানোর আবেদন বঙ্গীয় ইমাম পরিষদের

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

spot_img

Related articles

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে অগ্রগতি, শিলাবতী ও কাটান খালে সমীক্ষার সিদ্ধান্ত রাজ্যের

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান (Ghatal Master Plan) রূপায়ণের পথে আরও এক ধাপ এগোল রাজ্য সরকার। দীর্ঘদিন আটকে থাকা এই...

তৃণমূল কাউন্সিলর খুনে সাজা ঘোষণা, তিনদোষীর যাবজ্জীবন

পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলার অনুপম দত্ত খুনের মামলায় তিন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের (TMC Councillor Murder) সাজা শোনাল ব্যারাকপুর আদালত।...

ঢাকায় হুমকি হাইকমিশনে: বাংলাদেশের হাই কমিশনারকে তলব বিদেশ মন্ত্রকের

বাংলাদেশে ভারতীয় দূতাবাসে ক্রমাগত হুমকি। অথচ বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূস (Mohammed Yunus) পরিচালিত অন্তর্বর্তী সরকার নীরব। প্রতিবেশী দেশ ভারতের...

বাংলায় কোটি কোটি রোহিঙ্গা-বাংলাদেশি কোথায়? মিথ্যাচারের জন্য ক্ষমা চাক বঙ্গ বিজেপি: তীব্র নিশানা অভিষেকের

বিজেপি বলেছিল বাংলায় এক-দেড় কোটি রোহিঙ্গা, অগণিত বাংলাদেশি নাগরিক আছে। তারা কোথায় গেল? বাংলার ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন...