চক্রান্তকারী বিজেপিই কুম্ভীরাশ্রু ঝরাচ্ছে: গেরুয়া শিবির-সহ জাতীয় মহিলা কমিশনকে নিশানা দেবাংশুর

জাতীয় মহিলা কমিশন ও বিজেপির আঁতাতের ফল দেখে নিয়েছে বাংলার মানুষ। সন্দেশখালি থেকে বগটুই— বারবার মানুষের সামনে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বিজেপির চক্রান্ত। এখন মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানেও বিজেপির (BJP) চক্রান্ত দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। জাতীয় মহিলা কমিশন আক্ষরিক অর্থেই বিজেপির কুম্ভীরাশ্রুর প্রতীক হয়ে উঠেছে! বিজেপি ও জাতীয় মহিলা কমিশনকে একহাত নিয়ে তৃণমূলের (TMC) আইটি সেলের চেয়ারম্যান দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debanshu Bhattacharya) ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, বাংলার মানুষ এই চক্রান্তের সঠিক জবাব দেবে।

দেবাংশুর কথায়, সাধারণ মানুষের চোখের জল কারও ভাল লাগে না। মানুষ এখন বুঝতে পারছে, যারা এই গোটা ঘটনা ঘটাল, যারাই চক্রান্তের পিছনে, তারাই এখন সাধারণ মানুষের পাশে গিয়ে চোখের জল ফেলছে। এটা কুম্ভীরাশ্রু ছাড়া আর কিছু নয়। সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে BSF। তা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীন। সেই সীমান্ত দিয়েই দুষ্কৃতী ঢোকানো হয়েছে। ভিনরাজ্য থেকে দুষ্কৃতী ঢুকিয়ে গোটা হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। এলাকার মানুষ স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছে, যাদের দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে, তাদেরকে আমরা চিনি না। যাঁরা গন্ডগোল পাকিয়েছে, তারা লোকাল লোক নন। এলাকার হিন্দু-মুসলিম সকলে একথা বলেছে। এরপর দেবাংশুর অভিযোগ, ওদের একটা বাৎসরিক কোটা আছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বছরে অন্তত পাঁচ-ছ’বার করে পাঠাতে হবে। বগটুইয়ের সময় পাঠিয়েছিল, ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে পাঠিয়েছিল, সন্দেশখালি সময়ও পাঠিয়েছে। এই কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজ কেউ জানতে পারে না। তাদের তদন্তের ফলাফল কী হচ্ছে, তাও কেউ জানতে পারে না। সিবিআই-এনআইএ তদন্তেরও কিছু জানা যায় না।
আরও খবর: শালবনিতে প্রস্তুতি তুঙ্গে, সোমে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী


বিজেপিকে দেবাংশুর (Debanshu Bhattacharya) সাফ কথা, আপনারা দায়িত্ব নিয়ে ভিনরাজ্য থেকে গুন্ডা-দুষ্কৃতী ঢুকিয়ে যাদের সর্বনাশ করেছেন, তাদের কাছে গিয়ে কুম্ভীরাশ্রু ঝরাবেন না। বাংলার মানুষের বুঝতে বাকি নেই য়ে, প্রত্যেকটা নির্বাচনের আগেই আপনারা অশান্তি পাকান। সেভাবেই বাংলাতেও অশান্তি পাকাতে চাইছেন। মনে রাখবেন, বাংলা উত্তরপ্রদেশ নয়, দিল্লিও নয়। বাংলা আগেও আপনাদের রিজেক্ট করেছে, পরেও রিজেক্ট করবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতকেই শক্তিশালী করবে বাংলার মানুষ।