বক্তা তালিকায় নেই মীনাক্ষি, বামনেত্রীকে চরম অপমান বাম ব্রিগেডে!

মীনাক্ষি (Minakshi Mukherjee) বক্তার তালিকায় নেই, দাবি বামেদের। কার্যত নবীন শ্রেণি থেকে কোনও বক্তাকেই এই চার শ্রেণির প্রতিনিধি হিসাবে বক্তব্য রাখতে দেখা যায়নি

ছাত্র-যুবর ব্রিগেড করে কোনও লাভ হয়নি বামেদের। লোকসভায় আসন জোগাড় তো দূরের কথা, ভোটের হার আরও কমেছে বামেদের। পথ খুঁজতে চার গণসংগঠনকে সামনে রেখে মাঠ ভরানোর চেষ্টা রবিবারের ব্রিগেডে। কিন্তু সেখানেও প্রবীন-নবীনের দ্বন্দ্ব প্রকট। তার জেরে বক্তা হিসাবে জায়গাই পেলেন না সিপিআইএম নেত্রী মীনাক্ষি মুখোপাধ্য়ায় (Minakshi Mukherjee)। আর স্বভাবতই বামনেত্রীর বক্তব্য শুনতে আসা বাম কর্মী সমর্থকরা হতাশ। প্রবীনদের চাপে নবীনদের ফের একবার পিছু হঠার ব্রিগেডে তাই প্রকট হয়ে ওঠে সিপিআইএম (CPIM) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের (Mohammed Selim) বক্তব্যের সময় কর্মী-সমর্থকদের মাঠ ছেড়ে চলে যাওয়ার দৃশ্য।

সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেয়েছেন মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়। সিপিআইএম ছাত্র-যুবর ব্রিগেডে (Brigade) তিনিই ছিলেন মূল আকর্ষণ। তাঁর উপর রাজ্যের বামপন্থী আন্দোলন অনেকাংশেই যে বর্তমানে নির্ভর করে রয়েছে সেটা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রতিক সময়ের আন্দোলনে টের পাওয়া গিয়েছে। তাই ব্রিগেড মানেই মীনাক্ষির বক্তব্য শোনাও যেন বাম কর্মী সমর্থকদের সাম্প্রতিক সময়ের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অথচ রবিবারের ব্রিগেডে (Brigade) বক্তার তালিকাতেই নেই মীনাক্ষি। শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর, বস্তি উন্নয়ন সমিতির নামে ব্রিগেডের ডাক। তাই মীনাক্ষি (Minakshi Mukherjee) বক্তার তালিকায় নেই, দাবি বামেদের। কার্যত নবীন শ্রেণি থেকে কোনও বক্তাকেই এই চার শ্রেণির প্রতিনিধি হিসাবে বক্তব্য রাখতে দেখা যায়নি। সেখানেই শুধুমাত্র সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক হওয়ার কারণে বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়েছেন মহম্মদ সেলিম। প্রবীণদের একপেশে মনোভাবে যে নবীনরা ভালোভাবে নিচ্ছেন না, তা ব্রিগেডে ছাত্র-যুবদের উপস্থিতির হার থেকেও বোঝা যায়।

যদিও দলের শৃঙ্খলার দোহাই দিয়ে মীনাক্ষিও দাবি করেন তিনি গণ সংগঠনের বক্তব্য শুনতে ব্রিগেডে গিয়েছেন তিনি। মঞ্চের নিচে তাঁকে ঘিরে অনুগামীদের ভিড় থাকলেও তাঁর বক্তব্য না শুনে হতাশ হয়েই ফিরতে হয় তাঁদের।