লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য লড়ব! ব্রিগেড থেকে তৃণমূলের প্রকল্পেই আশ্রয় নিরাপদর

আন্দোলন করার মধ্যে দিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhander) আমার সব মায়েরা যাতে পায় তার জন্য লড়াই সংগ্রাম জারি থাকবে

বামেদের ভ্রান্তনীতিতে বাংলার মানুষের আস্থা হারিয়েছে সিপিআইএম (CPIM)। একমাত্র রাজ্যের শাসকদলের বিরোধিতাই তাদের একমাত্র হাতিয়ার ছিল বিগত কয়েকটি বিধানসভা থেকে লোকসভা নির্বাচনে। যেখানে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের একের পর এক উন্নয়নমূলক পদক্ষেপে রাজ্যের মানুষ তৃণমূলের উপরই আস্থা রেখেছে, সেখানে সেই তৃণমূলেরই বিরোধিতার পথে হেঁটে শূন্য থেকে মহাশূন্য়ের দিকে যাওয়া নিশ্চিত করেছে বামেরা। তবে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে অবশেষে সিপিআইএম স্বীকার করে নিল রাজ্যের মানুষের উন্নয়নের চিন্তাভাবনায় তৃণমূলের মতো পাশে আর কেউ নেই। তাই ব্রিগেডের (Brigade) মঞ্চ থেকে বক্তা নিরাপদ সরদার (Nirapada Sardar) স্বীকার করে নিলেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) রাজ্যের মানুষের বিশেষত মহিলাদের বাস্তবেই উন্নয়নের দিশারি।

তীব্র তৃণমূল বিরোধিতা যে ক্রমশ বামেদের বিজেপির দিকে ঠেলে দিয়েছে, তা যে খানিকটা বুঝতে পেরেছেন বামনেতারা, তার কিছুটা আভাস রবিবারের ব্রিগেড থেকে পাওয়া যায়। কার্যত বক্তাদের মুখে ঝাঁঝালো তৃণমূল বিরোধিতার আগে জায়গা পায় কেন্দ্রের স্বৈরাচারী বিজেপির বিরোধিতা। সারাভারত খেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক নিরাপদ সরদার প্রথম থেকেই তৃণমূলের সুরে কেন্দ্রের একশো দিনের কাজ বন্ধের বিরোধিতা করেন। তিনি দাবি করেন, এই আইনেই উল্লেখ রয়েছে তিনবছরের বেশি এই প্রকল্প আটকে রাখা যায় না। সেখানে যেভাবে বাংলার শাসকদল প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছে, সেভাবেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা যায় নিরাপদকে।

তবে বাংলার মানুষের উন্নয়নে বার্তা দিতে ব্যর্থ সিপিআইএম যে এখন তৃণমূলের প্রকল্পে আশ্রয় নিতে চলেছে তা প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সরদারের (Nirapada Sardar) বক্তব্যেই স্পষ্ট। আন্দোলনের ধুয়ো তুলে কার্যত অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চায় সিপিআইএম (CPIM)। তাই কেন্দ্রে ও রাজ্যের বিরোধিতাই তাদের একমাত্র পথ। সেই সঙ্গে রাজ্যের তৈরি করা প্রকল্পের জন্য় দাবি জানানোর কথা নিরাপদর মুখে। তিনি বলেন, আন্দোলন করার মধ্যে দিয়ে আমার একশো দিনের কাজ যাতে আদায় হয়। আন্দোলন করার মধ্যে দিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhander) আমার সব মায়েরা যাতে পায় তার জন্য লড়াই সংগ্রাম জারি থাকবে।

যে বামেরা রাজ্যের একের পর এক প্রকল্প মানুষের জন্য নিয়ে আসাকে খয়রাতি, এমনকি ভিক্ষা বলতেও বাকি রাখেনি, এবার সেই বামেদের ব্রিগেডে (Brigade) লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথা। তাও সেটা নেতিবাচক নয়, ইতিবাচক অর্থে। শূন্যের তলানিতে ঠেকে যাওয়া বামেরা সম্ভবত এবার বুঝতে পেরেছে গ্রামীণ স্তরে রাজ্য সরকারের প্রকল্প বন্ধ করা বা মানুষের কাছে কুৎসা করে প্রকল্প পৌঁছাতে না দেওয়া চেষ্টা করা এখন বৃথা। তাই এতদিন যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ভিক্ষা বলে কটাক্ষ করেছিল বাম নেতারা, এবার সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার মানুষের ঘরে পৌঁছে দিতে তাঁরাই এগিয়ে আসবে বলে দাবি খেতমজুর নেতৃত্ব নিরাপদ সরদারের।