পহেলগাম হামলায় বাড়ছে মৃত্যু: ধর্মীয় আবেগ উসকে দিতে হামলা, প্রশ্ন তৃণমূলের

জঙ্গিরা (terrorists) ঢুকে এসে করল, না কি অমরনাথ (Amarnath shrine) যাত্রীদের উপর হামলা দেখাবার জন্য করল, সেটা তদন্ত দরকার

আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার মধ্যে কাশ্মীরে না কি শান্তি বিরাজ করছে। এই পরিস্থিতিতে অমরনাথ যাত্রার (Amarnath shrine) আড়াই মাস আগে বেছে বেছে তীর্থযাত্রীদের উপর হামলা। ঘটনায় রীতিমত ধর্মীয় উসকানির ইঙ্গিতও পাওয়া গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এলাকা গরম করতে তড়িঘড়ি কাশ্মীরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। প্রথম থেকেই গুলি চলার ঘটনা, তা থেকে একাধিক মৃত্যু – যেভাবে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে সব সংবাদ মাধ্যমে তা থেকে কেন্দ্রের তথ্য লুকানোর সন্দেহ বাংলার শাসকদল তৃণমূলের। সেই সঙ্গে জঙ্গীদের অনুপ্রবেশে হামলার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করা হয়েছে। যেভাবে নির্দিষ্ট ধর্মের লোককে বেছে হামলা চালানো হয়েছে, তাতে ভয়ঙ্কর কোনও প্লটের আশঙ্কা করা হয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূলের তরফে।

জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা (Omar Abdullah) জানান, পহেলগামে (Pahalgam) মৃতের সঠিক সংখ্যা না জানা থাকায় তা প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। তবে বিভিন্ন অসমর্থিত সূত্রে দাবি করা হয়েছে, মৃতের সংখ্যাই ২০ বা তার থেকেও বেশি হতে পারে। আহতের সংখ্যাও প্রায় ২০ জন। ঘটনায় তীব্র নিন্দা করে হামলাকে পাশবিক (animal) দাবি করেছেন ওমর। ঘটনার পরের যে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা বিশ্ববাংলা সংবাদ যাচাই করেনি) হয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে আহত রক্তাক্ত পুরুষদের প্রাণভিক্ষা করছেন মহিলারা। পরিবারের মানুষ প্রাণে বেঁচে গেলেও পরিজনদের বাঁচানোর কাতর আর্তি পর্যটক মহিলাদের মধ্যে।

এই ভিডিওতেই দেখা গিয়েছে স্বামীকে বাঁচানোর আর্তি নিয়ে অপেক্ষা করা এক মহিলা জানাচ্ছেন, তাঁরা ভেলপুরি খাচ্ছিলেন। তাঁর স্বামীর নাম জানতে চাওয়া হয়। যখনই হামলাকারীরা নিশ্চিত হয় ওই ব্যক্তি মুসলিম নয় তখনই তাঁর উপর গুলি চালানো হয়। আরও একাধিক মহিলা সেখানে নিজেদের স্বামীদের বাঁচানোর কাতর আর্তি জানাতে থাকেন। তবে এই হামলায় একেবারে নতুনভাবে আক্রান্তের ধর্মীয় পরিচয় জানতে চাওয়া হয়, যেখানে নতুন প্লটের আশঙ্কা তৃণমূলের। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের প্রশ্ন, জঙ্গিরা (terrorists) ঢুকে এসে করল, না কি অমরনাথ (Amarnath shrine) যাত্রীদের উপর হামলা দেখাবার জন্য করল, সেটা তদন্ত দরকার।

প্রশাসনিক তরফে কেন্দ্রের সরকারও কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও মৃত, আহত বা নিখোঁজ কেউ রয়েছে কিনা তা প্রকাশ করতে ব্যর্থ। তবে অন্যান্য অনেক লোকসভা নির্বাচনে যেভাবে কাশ্মীরকে হাতিয়া করে নির্বাচনের বৈতরণী পার করার চেষ্টা করে মোদি সরকার, এখানেও সেই রকম আশঙ্কা রাজনীতিকদের। সামনে লোকসভা নির্বাচন না থাকলেও বাংলা, বিহারের বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election) যে কেন্দ্রের বিজেপির পাখির চোখ তা প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিয়েছে মোদির অনুগামীরা। সেক্ষেত্রে নতুন করে কাশ্মীর নিয়ে ধর্মীয় আবেগ উসকে দেওয়ার আশঙ্কা তৃণমূলের। কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, জঙ্গিরাই হামলা করেছে, তারা কারা যারা হামলা করল, তদন্ত হওয়া দরকার। জঙ্গিরা (terrorists) এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। নাম পরিচয়, ও অন্য পরিচয় জেনে এখানে গুলি চালাচ্ছে। নির্দিষ্টভাবে কোনও একটা ধর্মীয় আবেগ উসকে দেওয়ার প্লট আছে কি না, তদন্ত হওয়া দরকার।