মামলার নামে ভয় দেখানো! বাম আইনজীবীদের ‘বাজার করায়’ তোপ প্রাথমিক শিক্ষকদের

তাদের চাকরি চলে যাওয়ার মুখে। এই নিয়ে মূলত বামপন্থী (Leftist) আইনজীবীরা যে কুৎসিত অপপ্রচার শুরু করেছেন, অনিশ্চিত বাতাবরণ করতে চাইছেন

যারা শিক্ষক হিসাবে চাকরি করছেন তাঁদের নামে মামলা করে ভয় দেখানোর খেলায় নেমেছে বামপন্থী (Leftist) আইনজীবীরা। প্রথমে এসএসসি শিক্ষকদের (SSC teachers) চাকরি বাতিলে পৈশাচিক উল্লাস, এবার প্রাথমিক শিক্ষকদের নামে ভুয়ো মামলা করে নতুন ভয়ের পরিবেশ রাজ্যে তৈরির চেষ্টায় বামপন্থী আইনজীবীরা। চক্রান্ত তৈরিতে একাংশের সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধেও সরব রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকরা। কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ২৮ এপ্রিল প্রাথমিকে চাকরি (primary teacher recruitment)  মামলা তালিকাভুক্ত হয়ে শুনানির সম্ভাবনা। তার আগেই বিরোধীদের ধুয়ো তুলে রাজ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরির বিরোধিতায় শিক্ষক সমাজ থেকে রাজ্যের শাসকদল।

২০১৪ সালের টেটের (TET) পর তৈরি প্যানেলের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে নিয়োগ হয় রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে। কিন্তু সেই নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ২০২৩ সালের মে মাসে কলকাতা হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দুর্নীতির অভিযোগে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। প্রথমে বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি শুনানির কথা ছিল। তার জন্য ৭ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বিচারপতি সেন মামলা থেকে সরে দাঁড়ান। ২৫ এপ্রিল থেকে শুরু হবে শুনানি পর্ব। মূল মামলাটির শুনানি হবে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ ২৮ এপ্রিল।

অথচ তার আগেই প্রাথমিকের ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে বলে বাজার গরম করার চেষ্টায় বামপন্থী আইনজীবীরা। তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ দাবি করেন, প্রচার চলছে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকা না কি অযোগ্য। তাদের চাকরি চলে যাওয়ার মুখে। এই নিয়ে মূলত বামপন্থী (Leftist) আইনজীবীরা যে কুৎসিত অপপ্রচার শুরু করেছেন, অনিশ্চিত বাতাবরণ করতে চাইছেন।

মূলত একদিকে ভয় তৈরি করা, অন্যদিকে চাকরি হারালে তাদের পাশে থাকা। এই দ্বিরাচিতার রাজনীতির মধ্যে দিয়ে বামপন্থী আইনজীবীরা নিজেদের বাজার করতে নেমেছেন বলে তোপ কুণাল ঘোষের। তিনি দাবি করেন, ২৮ তারিখ আইনি একটি বিষয়, একটি মেনশনিংয়ের বিষয় আছে। তার সঙ্গে এরা দোষী এরকম কোনও বিষয় নেই। মুখ্যমন্ত্রী চান না একজনেরও চাকরি যাক। এরা যোগ্য়, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করছেন। এনাদের প্যানেল (panel) থেকে কোনও অনিয়ম নেই। কিন্তু দ্বিচারিতা করে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে।

বুধবার প্রাথমিক মামলায় প্রভাবিত শিক্ষকদের একাংশ দেখা করেন তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে। সেই সঙ্গে আবেদন জানান যেন অযথা ভয়ের পরিবেশ তৈরি না করা হয়।