প্রশ্ন বিজেপির নোংরা রাজনীতি নিয়ে! পহেলগাঁও ইস্যুতে সরকারের পাশেই তৃণমূল, সর্বদল বৈঠকে বললেন সুদীপ

জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সদ্য ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহষ্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সর্বদল বৈঠকে বিজেপির বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় সরাসরি প্রশ্ন তোলে তৃণমূল। লোকসভায় দলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, “কেন এই ঘটনাকে হিন্দু-মুসলিম সংঘাত হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে বিজেপি?” পাশাপাশি এই হামলার প্রেক্ষিতে পহেলগাঁওয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন না থাকার বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি দাবি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উচিত সব রাজনৈতিক দলের সুপ্রিমোদের নিয়ে একটি পৃথক বৈঠক ডাকা।

তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনও এদিন প্রশ্ন তোলেন সর্বদল বৈঠকের কাঠামো নিয়ে। তিনি বলেন, “এটা কি সত্যিই সর্বদলীয় বৈঠক, নাকি শুধুই সংসদীয় দলের?” প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর মতে, “যদি মোদি থাকতেন, তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ডাকা যেত, এবং তাতে গোটা আলোচনাই আরও ফলপ্রসূ হতো।” তবে সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে বলেন, “সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াইয়ে আমরা সরকারের পাশেই আছি, কিন্তু সেটা রাজনৈতিক বিভাজনের মাধ্যমে নয়।”

অন্যদিকে, সর্বদল বৈঠক শেষে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী জানান, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সরকারকে সবরকম সমর্থন দেবে কংগ্রেস। তিনি আরও জানান, শুক্রবার তিনি অনন্তনাগ যাবেন এবং জঙ্গি হামলায় আহতদের সঙ্গে হাসপাতালে সাক্ষাৎ করবেন। পহেলগাঁওয়ের ঘটনার জেরে রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা তুঙ্গে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাতীয় নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক ঐক্য—দুয়েরই গুরুত্ব ফের একবার সামনে এল।

আরও পড়ুন- পেহেলগাম হামলার পর প্রশ্নের মুখে সীমা-সচিনের ভবিষ্যৎ! পাকিস্তান ফিরতে হবে সীমাকে?

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_