সার্জিকাল স্ট্রাইক নয়, POK দাবির সময়: কাশ্মীর নিয়ে গালভরা প্রচারের পাল্টা অভিষেক

প্রতিবার পাকিস্তান থেকেই সন্ত্রাসবাদীরা এসে হামলা চালায়। প্রাণ যায় ভারতের নিরীহ নাগরিক বা ভারতীয় সেনার। ক্ষতি হয় ভারতেরই অর্থনীতি। অপমানিত হতে হয় গোটা বিশ্বের কাছে। তা সত্ত্বেও কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হয় না। পহেলগাম হামলার (Pahalgam attack) পরেও হম্বিতম্বি করেই চলেছেন প্রধানমন্ত্রী থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী (MHA)। আর সেখানেই নির্দিষ্ট করে পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিজেদের দখলে নেওয়ার দাবি জানালেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেই সঙ্গে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে কাশ্মীর সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধানের দাবি জানান তিনি।

২২ এপ্রিল পহেলগাম হামলার পরবর্তীতে বারবার প্রচার মাধ্যমের সামনে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। চূড়ান্ত হামলার কথাও জানিয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমে তা ফলাও করে প্রচারও হয়েছে। কিন্তু এখনও বিচার পায়নি ২৬ জন নিহত। একটিও সদর্থক গ্রেফতারি করে উঠতে পারেনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA)। আর সেই ব্যর্থতা ঢাকতেই গণমাধ্যমে যে প্রচার চালানো হচ্ছে, তাকে কটাক্ষ করে অভিষেক এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, গত কয়েকদিন ধরে, আমি মূলধারার গণমাধ্যম এবং কেন্দ্রীয় সরকারের নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিদের আচরণ খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করছি। পহেলগামে এই নক্কারজনক সন্ত্রাসবাদী হামলার পিছনে থাকা ত্রুটিগুলি গভীরভাবে তদন্ত করার পরিবর্তে, তারা একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের স্বার্থে উপকারী এমন একটি আখ্যান প্রচারে বেশি মনোযোগী বলে মনে হচ্ছে।

সেই সঙ্গে সদর্থক পদক্ষেপ নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট দাবি, তুচ্ছ রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে এই বিষয়টিকে চিরতরে স্থায়ীভাবে মোকাবিলা করার সময় এসেছে। এটা পাকিস্তানের জন্য আরও সার্জিক্যাল স্ট্রাইক (surgical strike) বা প্রতীকী হুমকির সময় নয়। তাদের বোঝার ভাষায় তাদের শিক্ষা দেওয়ার সময় এসেছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) (POK) দাবি করার সময় এসেছে। সময় এসেছে।