আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে (R G Kar Medical College And Hospital) তরুণী চিকিৎসক-পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুনের মামলায় তৃতীয় ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ (Status Report) জমা দিল সিবিআই (CBI)। সোমবার, শিয়ালদহ আদালতে এই রিপোর্ট জমা দেয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, এই রিপোর্টে নতুন ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের উল্লেখ রয়েছে। ২০০টি ভিডিও ক্লিপের বিষয়ে উল্লেখ আছে। সিনপসিসে অভিযোগ জানাল মৃতার পরিবারেও।

আর জি কর-কাণ্ডে সিবিআইয়ের (CBI) তদন্তের দাবি জানিয়ে আদালত থেকে অনুমতি আদায় করেছিলেন মৃতার মা-বাবা। কিন্তু সঞ্জয় রায়কেই একমাত্র দোষী সাব্যস্ত করায় সেটি পছন্দ হয়নি মৃতার পরিবার। সঞ্জয়কে আজীবন কারাবাসের সাজা দেয় আদালত। কিন্তু ঘটনায় আরও কেউ জড়িত বলে সন্দেহ করে দ্রুত গ্রেফতারির দাবি জানান তাঁরা। শুধু তাই নয়, সিবিআইয়ের তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে পারছে না বলে আদালতে জানিয়েছিল তাঁরা। এর প্রেক্ষিতে ফেব্রুয়ারি মাসে তদন্তের অগ্রগতির প্রথম রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দ্বিতীয় দফায় তিন পাতার ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ জমা দিয়েছিল সিবিআই। তদন্তকারীরা তখন জানিয়েছিলেন, নতুন ২৪ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার তৃতীয় ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ জমা দিল সিবিআই।

এদিকে এদিন শিয়ালদহ আদালতে (Sealdah Court) মুখবন্ধ খামে একটি ‘সিনপসিস’ জমা করেছে অভয়ার পরিবার। মৃত্যুর কয়েক মাস পরেও মৃতার মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে- এই অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও আদালতে এটার গ্রহণযোগ্যিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পরিবারের তরফে আইনজীবীর দাবি, ঘটনার পরে মৃতার মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। পরে সিবিআই তদন্তভার হাতে নেয়। তার পর থেকে তাদের কাছেই রয়েছে মোবাইল। তা হলে ওই মোবাইল নম্বর দিয়ে কী ভাবে হোয়াট্সঅ্যাাপে অযাল কসেস হল? সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, নির্যাতিতার পরিবারের কিছু জানানোর থাকলে তাদের জানানো উচিৎ ছিল। অভয়ার পরিবারকে পরিবারকে বিচারকও জানান, তাদের কিছু বলার থাকলে সিবিআইকে জানানো হোক।

তবে অভয়ার পরিবারের তরফে আইনজীবী অভিযোগ করেন, অনেক তথ্যই সিবিআইকে দেওয়া হয়েছিল। তার কী ফলাফল হয়েছে, তা তাঁদের কাছে স্পষ্ট নয়। তাই তিনি বিচারককে সেই অভিযোগ পড়ে দেখার অনুরোধ করেন। তবে, এদিন সিবিআই-এর ‘সিনপসিস’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালত। হাই কোর্টে যে হেতু এই মামলা চলছে, তাই ঘনঘন ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়েও সওয়াল করেন বিচারক। ১০ জুন পরবর্তী স্টেটাস রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

–

–

–

–

–

–

–

–
