সৈকত শহর দিঘা এবার তীর্থক্ষেত্রে দিঘার পরিচয়ে আত্মপ্রকাশের অপেক্ষায়। ঈশ্বরের বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠার (consecration) উপাচার শুরু হয়ে গিয়েছে পাঁচ দিন আগেই। সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে মহাযজ্ঞ (Mahajagna)। আর সেই শুভ মুহূর্ত থেকেই দিঘায় (Digha) উপস্থিত থেকে গোটা বিষয়টি নিজে অংশগ্রহণ করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ইতিমধ্যেই জগন্নাথ-তীর্থে বহু মানুষ পৌঁছে গিয়েছেন দিঘায়। তবে বুধবার দ্বারোদ্ঘাটনের আগে তাঁরা ঢুকতে পারছেন না মন্দিরে। তাঁদের সঙ্গে গোটা রাজ্যবাসী অপেক্ষা করছে বুধবারের পুণ্য মুহূর্তের।

একদিকে প্রথাগত আলোক মালায় সেজেছে দিঘার জগন্নাথ ধাম (Digha Jagannath Dham) প্রাঙ্গন। অন্যদিকে দিঘা শহরে পর্যটকদের নতুনভাবে আপ্যায়নে সেজে উঠেছে সৈকত শহর। লাগানো হয়েছে চন্দননগরের (Chandannagar) আলো। দিনে যেমন সমুদ্রের অপার আহ্বান থাকে, রাতে তার সঙ্গেই তাল মিলিয়ে উৎসবমুখর দিঘা (Digha)।

মন্দির চত্বর ঘরেছে সানাইয়ের আমন্ত্রণে। পুরীর দ্বৈতপতিদের তত্ত্বাবধানে ২৩ এপ্রিল থেকেই চলছে নানা উপচার। তার মধ্যে যেমন যজ্ঞ রয়েছে, তেমনই রয়েছে নিত্যপুজোপাঠ। অস্থায়ী আটচালায় জগন্নাথের (Jagannath) বিগ্রহের সঙ্গে রয়েছেন বলরাম, শুভদ্রা। সেখানেই প্রতিদিনের আচার পালন চলছে। অন্যদিকে ইসকনের পুরোহিতরাও প্রস্তুত হচ্ছেন প্রাণ প্রতিষ্ঠার উপচারের জন্য।

সোমবার থেকে জগন্নাথ ধামে (Jagannath Dham) অবশ্য একেবারে অন্য সাজসাজ রব। এদিনই শুরু হয়েছে মহাযজ্ঞ। প্রতি ১২ ও ১৯ বছরে এই মহাযজ্ঞ হয়। আটচালাতেই সেই মহাযজ্ঞ চলছে। প্রাণ প্রতিষ্ঠার (consecration) আগেই ৩৩ কোটি দেবতার অর্চনা করে তাঁদের এই মহাকর্মকাণ্ডে আমন্ত্রণ জানানো হয়। প্রায় ১ কোটি মন্ত্রোচ্চারণে বুধবার হবে জগন্নাথের প্রাণ প্রতিষ্ঠা।

মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন উপলক্ষ্যে কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য আগাম যান নিয়ন্ত্রণ করছে জেলা পুলিশ। আজ অর্থাৎ সোমবার থেকে দিঘা গেট থেকে বিভিন্ন রুটে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে যানবাহন। তাই জেলা পুলিশের তরফ থেকে দিঘা গেটের কাছে চেক পোষ্ট তৈরি করা হয়েছে। অন্যদিকে পর্যটকদের বাসগুলির জন্য হেলিপ্যাড ময়দান ও দিঘা বর্ডারের কাছে পার্কিং জোন করা হয়েছে। ফলে ওই সমস্ত বাসগুলিকে দিঘা বাইপাস হয়ে পার্কিং পয়েন্টে পৌঁছতে হবে।

–

–

–

–

–

–

–
