কিছু একটা ভুল হয়েছিল, স্বীকার করেছেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। কিন্তু কাশ্মীরের পহেলগামে (Pahalgam) জঙ্গি হামলা বাস্তবে ভুল, না তার পিছনে বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। আর সেই প্রশ্নের বড় উত্তর দিচ্ছেন উত্তরপ্রদেশের এক মহিলা পর্যটক। যাঁর দাবি, চিহ্নিত জঙ্গিদের একজনকে তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা আগেই পহেলগামে সহিস হিসাবে দেখেছেন। উত্তরপ্রদেশ (Uttarpradesh) হেল্পলাইন নম্বরে (helpline number) তিনি তা জানানোর চেষ্টাও করেছেন। আদতে জঙ্গি হামলার আগে থেকেই বৈশারন ভ্যালি এলাকায় কোনও নিরাপত্তা ছিল না বলেই দাবি উত্তরপ্রদেশের পর্যটকের।

২০ এপ্রিল পহেলগাম গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের পর্যটকদের একটি দল। তাদেরই মধ্যে একতা নামে এক যুবতী দাবি করেন, এক সহিস যুবকের সঙ্গে তাঁদের বচসা হয়। সেই যুবকরা অমরনাথ যাওয়া নিয়েও খোঁজখবর করেন পর্যটকদের কাছে। সেই যুবকের ছবি, ভিডিও দেখান উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) যুবতী।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে যুবতীর দাবি, সহিস যুবকদের জুতোর মধ্যে মোবাইল গোঁজা ছিল। তারা ৩৫টি বন্দুক (fire arms) সম্পর্কে ফোনে কথাও বলছিলেন। যদিও সেই সময়ই বন্দুকের কথা তাঁরা বুঝতে পারেননি। তাদের জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করতে না পারলেও কিছু একটি সন্দেহ হওয়ায় তারা দ্রুত ওই সহিসদের ঘোড়া ছেড়ে দেন বলে জানান যুবতী।

এই খবর উত্তরপ্রদেশ সরকারের হেল্পলাইন নম্বর ১০৭৬-তে জানানোর চেষ্টাও করেন তিনি। প্রায় আড়াই মিনিট সেই নম্বরে তিনি এই খবর দেন ২২ এপ্রিলের আগেই। তা সত্ত্বেও যে সেই সূত্রকে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি ডবল ইঞ্জিন সরকারের তরফে, তা স্পষ্ট হামলার ঘটনাতেই। সেখানেই উঠেছে প্রশ্ন, এই উপেক্ষা ইচ্ছাকৃত কি না, তা নিয়ে।

পহেলগামে নৃশংস হত্যালীলা চলার পরে কার্যত শিউরে উঠেছেন উত্তরপ্রদেশের একতা। সেই সঙ্গে তিনি জানাচ্ছেন ওই এলাকায় কোনও ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বা চেকিং (checking) ছিল না। তা থাকলে হয়তো আগেই ধরা পড়ত এই জঙ্গিরা। হয়তো এত বড় ঘটনা আগেই আটকানো যেত, আফশোস একতার।

–

–

–

–

–

–

–
