পাক হেফাজতে ‘জওয়ান’ স্বামী! পাঠানকোটের উদ্দেশে রওনা দিলেন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার রেশ কাটেনি এখনও। সেই ঘটনার জেরে সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা, মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সেনা। এই টহলদারির সময়েই ‘ভুল করে’ পাক সীমান্তে প্রবেশ করে বিপাকে পড়েছেন হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা, বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউ। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ এপ্রিল থেকে তাঁর কোনও খোঁজ নেই। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানি রেঞ্জার্সের হাতে ‘আটক’ হয়েছেন তিনি। তাঁর খোঁজে যখন কেন্দ্র এবং বিএসএফ স্তরে চলছে অনিশ্চয়তার খেলা, তখন নিজের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাকে উপেক্ষা করে স্বামীর সন্ধানে সরাসরি পাঠানকোটের উদ্দেশে রওনা দিলেন তাঁর স্ত্রী রজনী সাউ। সঙ্গে রয়েছে তাঁদের ৮ বছরের ছেলে।

সোমবার সংবাদমাধ্যমের সামনে দাঁড়িয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন রজনী। বলেন, “সবার মুখে শুধু আশ্বাস। কিন্তু আমার স্বামী শত্রুপক্ষের দেশে বন্দি। আমি কি চুপ করে বসে থাকতে পারি? বিএসএফ-এর আধিকারিকরা বলছেন সমস্যা আছে, সমাধান হলেই মুক্তি মিলবে। কিন্তু কবে? এক বছর লাগলে, ততদিন ওখানেই থাকবে?” পাক হেফাজতে এক সপ্তাহ কেটে গেলেও কেন্দ্রের তরফে কোনও নির্দিষ্ট পদক্ষেপ বা আশ্বাস না মেলায় ভরসা হারিয়েছেন তিনি। বলেন, “পাঠানকোট গিয়ে কমান্ডিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলব। সবকিছু গোপন রাখা হচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে। ওখানে কিছু না জানতে পারলে, সোজা দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব।” বাড়ির লোকজন চরম উদ্বিগ্ন। পূর্ণমের বাবা-মা অসুস্থ, স্ত্রীর অবস্থা সংকটজনক। অথচ বিএসএফ বা কেন্দ্র এখনও জানাতে পারেনি, পূর্ণম আদৌ পাকিস্তানে আছেন কি না, থাকলে কেমন অবস্থায় আছেন। দেশের জন্য সীমান্ত পাহারা দিতে গিয়ে নিজের জীবনের ঝুঁকি নেওয়া এক জওয়ান আজ ‘বন্দি’। আর তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, গোটা পরিবার আজ আশাহীন, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ক্ষুব্ধ। এখন গোটা দেশের অপেক্ষা—পূর্ণমকুমার সাউ কবে ফিরবেন নিজের মাটিতে, নিজের ঘরে।

আরও পড়ুন- পাহেলগাঁও হামলায় আইএসআই’র হেরোইন যোগ! চাঞ্চল্যকর তথ্য এনআইএ’র হাতে

_

_

_

_

_

_

_

_

_

_