পহেলগাম হামলার ৭ দিন পার, এখনও অধরা জঙ্গিরা

আজ থেকে ঠিক সাত দিন আগে এখনও আনন্দ -হুল্লোড়ে পহেলাগামে মেতে উঠেছিলেন পর্যটকরা। দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কী ভয়ংকর ঘটনা ঘটতে চলেছে। গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় (Pahelgam Terrorist Attack) ২৬ পর্যটকের মৃত্যুর বদলা চাইছে গোটা দেশ। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে জবাব দেওয়ার, পাল্টা প্রত্যাঘাতে প্রতিশ্রুতি দিয়েও এখনও পর্যন্ত মোদি সরকারের (Modi Government) তরফে আর কোনও বিশেষ পদক্ষেপই করতে দেখা যায়নি। হামলার পরের দিন থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত একটানা সীমান্তে গুলির লড়াই চলছে। সোমবার রাতেও কুপওয়ারা – বারামুলায় নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে পাকিস্তান। বৈসরন উপত্যকায় হামলাকারীদের মধ্যে পাক সেনার প্রাক্তন সদস্য মুসাকে চিহ্নিত করা গেলেও এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গিকেই ধরতে পারেনি ভারতীয় সেনা (Indian Army)।

জঙ্গি হামলায় সরাসরি পাক যোগ আরও স্পষ্ট হচ্ছে। কাশ্মীরে হামলার যেসব ভিডিও সামনে এসেছে তার মধ্যে প্রাক্তন সেনার মুখ দেখা গেছে। পাক স্পেশাল ফোর্স কমান্ডো হাসিম মুসার (Hasim Musa) এই ঘটনায় যুক্ত থাকা আরও একবার পাকিস্তানের জঙ্গি মদত এবং হামলার সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগের স্পষ্ট করল। পহেলগাম হামলার দু’দিন পরে সিমলা চুক্তি বাতিল করে পাকিস্তান। তারপর থেকে প্রত্যেক দিনই পাক সেনার তরফে গুলি চলেছে সীমান্তে।মঙ্গলবার সকালে সেনার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ২৮ এপ্রিল এবং ২৯ এপ্রিলের মধ্যবর্তী রাতে কোনও উসকানি ছাড়াই আচমকা গুলি চালিয়েছে পাক সেনা। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ভারতীয় সেনার (Indian Army) নজর ঘুরিয়ে কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করাতেই জন্যই এইভাবে গুলির লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান? ইতিমধ্যেই বায়ুসেনা- নৌবাহিনীর মহড়ায় ভারত নিজের শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত দিয়েছে। কিন্তু হামলার এক সপ্তাহ পরেও কেন স্কেচ থাকা সত্ত্বেও কোনও জঙ্গি ধরা পড়লো না বা ইসলামাবাদে পাল্টা প্রত্যাখাত করল না নয়া দিল্লি, তা নিয়ে কূটনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে।