বুধবার দ্বারোদ্ঘাটন! জেলায় জেলায় জায়ান্ট স্ক্রিনে সরাসরি জগন্নাথধামের উদ্বোধন

বুধবার দিঘার বুকে নতুন তীর্থক্ষেত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে জগন্নাথধাম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে উদ্বোধন হতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত এই তীর্থস্থান। জগন্নাথদেবের প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং দ্বারোদ্ঘাটন করবেন জগন্নাথধামের। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে গোটা রাজ্যের মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নিতে ব্লকে ব্লকে বসানো হয়েছে জায়ান্ট স্ক্রিন। সরাসরি সম্প্রচারিত হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।

মঙ্গলবার দিঘার জগন্নাথধামে মহাযজ্ঞে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের নানা প্রান্তে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে বের হয় শোভাযাত্রা ও বাইক র‍্যালি। হাবড়ায় খোল-কীর্তনের মধ্য দিয়ে বিশাল শোভাযাত্রা হয়। অংশ নেন স্থানীয় বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং পুরপ্রধান নারায়ণ সাহা। হাবড়া চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোগে জগন্নাথের পুজোও অনুষ্ঠিত হয়।

বসিরহাট শহর তৃণমূল কংগ্রেস, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর, ঝাড়গ্রাম, জামালপুর— সর্বত্রই দেখা গেছে ভিন্ন মাত্রার উদ্দীপনা। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে তো বিরল দৃশ্যের সাক্ষী থেকেছে মানুষ। একই জায়ান্ট স্ক্রিনের সামনে বসে মুখ্যমন্ত্রীর মহাযজ্ঞ উপভোগ করেছেন তৃণমূল ও বিজেপি নেতা-কর্মীরা একসঙ্গে। বিজেপির স্থানীয় সভাপতি প্রধানচন্দ্র পাল প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর সম্প্রীতির উদ্যোগের।

উত্তর দিনাজপুর, ইসলামপুর, রায়গঞ্জ, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার— প্রত্যেক জেলাতেই মানুষ উৎসাহের সঙ্গে এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। কোচবিহারে বিশেষ পুজো হয় মদনমোহন মন্দিরে, যেখানে উপস্থিত ছিলেন পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।

দিঘার জগন্নাথধাম শুধু একটি ধর্মীয় স্থল নয়, বরং হয়ে উঠছে সম্প্রীতির প্রতীক ও বাংলার গর্ব। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগ রাজ্যবাসীর হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। নতুন তীর্থক্ষেত্র ঘিরে ইতিমধ্যেই পর্যটন শিল্পে প্রাণ সঞ্চার হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন অনেকে।

আরও পড়ুন- রাত পোহালেই উদ্বোধন! পুরীর মতো দিঘাতেও মানুষের মুখে শুধুই ‘জয় জগন্নাথ’

_

_

_

_

_

_

_