জগন্নাথধামের ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে দর্শনার্থীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা যথাযথ নজর রাখতে নির্দেশ দিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ কথা মন্দিরে আসা মানুষদের যেন কোনওরকম হয়রানির শিকার হতে না হয়।

বৃহস্পতিবার দিঘা থেকে কলকাতা ফেরার আগে হেলিপ্যাডে এসেছিলেন স্থানীয় বিধায়ক অখিল গিরি। ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ-সহ আরও অনেকে। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন জগন্নাথধামকে কেন্দ্র করে কোনওরকম শিথিলতা যেন না থাকে। দ্রুত ট্রাস্টি বোর্ডের আরও একটি বৈঠকও তিনি করবেন নবান্নে, তা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার অক্ষয় তৃতীয়ার দিন বিকেল ৩.১২ মিনিটে দ্বারোদ্ঘাটন হয়েছে দিঘার জগন্নাথধামের। তারপরেই কার্যত উপচে পড়া ভিড়। ইসকনের রাধারমণ দাস বলেন, গেট খুলে দেওয়ার পর প্রথম তিন ঘণ্টাতেই দু’লক্ষেরও বেশি মানুষ প্রভুর দর্শন করেছেন। রাধারমণের কথায়, এখন রোজ সকাল ৬টা থেকে রাত্রি ৯টা পর্যন্ত মন্দির দর্শন করতে পারবেন ভক্তরা। দুপুরে কিছু সময়ের জন্য প্রভুর সেবায় দরজা বন্ধ রাখা হবে।

রাধারমণ বলেন, এখানে ভগবানকে পাঁচবার ভোগ দেওয়া হয়। সকালে ভগবান ওঠার সময় ওনাকে মিষ্টি এবং ক্ষীর দেওয়া হয়। এরপর সকাল সাতটা, দশটা, বারোটায় এবং সন্ধ্যায় ও রাতে ভোগ দেওয়া হয়। সব থেকে বড় ভোগ হয় দুপুরে। জগন্নাথ দেবকে দুপুরে রাজভোগ দেওয়া হয়। এটাকে ৫৬ ভোগও বলা হয়। ৫৬ বলা হলেও যা ১৫৬-ও ছাড়িয়ে যায়। আবার ইসকনে কখনও কখনও ১০৫৬ ভোগও দেওয়া হয়। কারণ ইসকনের ১৫০-এর বেশি মন্দির রয়েছে দেশে। আমাদের কোটি কোটি বিদেশি ভক্ত রয়েছে। ভক্তরা প্রেম দিয়ে রান্না করে যদি ভোগ নিয়ে আসে, সেটাও ভগবানকে অর্পণ করা হয়। তিনি বলেন, প্রতিদিন বেলা ৪টে থেকে ৫টার মধ্যে ধ্বজা পরিবর্তন করা হবে। প্রথম ধ্বজা হলুদ রঙের ছিল। বুধবার লাল রঙের লাগানো হয়েছে। আপাতত পুরী থেকে দুইজন রয়েছেন যারা ধ্বজা পরিবর্তন করবেন। তিনি বলেন, আমরা এখন ভগবানকে যে ভোগ দিচ্ছি সেটা বাইরে বিতরণ করে দিচ্ছি। বর্তমানে ১ লক্ষ, ২ লক্ষ করে মানুষ আসছে। তাঁদের ভোগ দেওয়ায় ব্যবস্থা করতে একটু সময় লাগবে। দর্শনার্থীরা দোকান থেকে মিষ্টি, ফল-ফুল নিয়ে আসতে পারেন। অখিল গিরি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই দিঘায় এই স্থাপত্য তৈরি হয়েছে। তাই সেই মন্দিরে যাতে কাউকে হয়রানির স্বীকার হতে না হয় সেজন্য নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমরা সেই নির্দেশ সঠিকভাবেই পালন করব। ইতিমধ্যেই দিঘার জগন্নাথধামে দর্শনার্থীদের ব্যাপক সাড়া মিলেছে।

আরও পড়ুন- বৃহস্পতিতেও কাশ্মীর জুড়ে সেনা তল্লাশি, পহেলগামে জঙ্গি সংখ্যা নিয়ে বড় দাবি NIA-র

_

_
_

_
_

_

_

_

_

_

_
