জম্মু কাশ্মীরে ২২ মার্চ জঙ্গি হামলার ঘটনার আগে যেসব তথ্য হাতে আসেনি ভারতের গোয়েন্দাদের, হামলার ১০ দিন পরে সেই সব তথ্য হাতে পাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। সেই রিপোর্টেই জঙ্গি নেটওয়ার্ক দেখে চোখ কপালে তদন্তকারীদের। কাশ্মীর জুড়ে অন গ্রাউন্ড ওয়ার্কারদের (OGW) একটা বড় নেটওয়ার্ক তৈরি করে গোটা কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) জুড়ে নাশকতার ছক ছিল জঙ্গিদের, এমনটাই পেশ করা হল এনআইএ-র প্রাথমিক রিপোর্টে।

তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ যে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করেছে সেখানেই পাকিস্তানের আইএসআই (ISI), পাক সেনা থেকে লস্কর-এ-তৈবাকে যৌথভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। পহেলগাম হামলার ঘটনায় বারবার প্রশ্ন উঠেছে, কিভাবে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ভেঙ্গে দিয়ে পহেলগাম পর্যন্ত পৌঁছালো জঙ্গিরা, গণহত্যা চালালো এবং নিরাপদে পালিয়ে গেল। অথচ ব্যর্থ হয়ে গেল ভারতীয় সেনা থেকে র (RAW)।
সেসব উত্তর দিতেই এনআইএ যে রিপোর্ট তৈরি করেছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, কাশ্মীরজুড়ে ওজিডব্লু (OGW) নেটওয়ার্ক বিস্তার করেই এত সহজে গোটা অপারেশন শেষ করে দেশের সীমানা পার হয়ে যায় জঙ্গিরা। ইতিমধ্যেই কাশ্মীর জুড়ে যে গ্রেফতারি চলেছে তার মধ্যে অন্তত ৭৫ জন ওজিডব্লু-কে (OGW) গ্রেফতার করা হয়েছে যারা এই হামলার (Pahalgam attack) সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত।

এর পাশাপাশি এনআইয়ের রিপোর্টে আইএসআই-এর (ISI) প্রত্যক্ষ যোগের উল্লেখ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ২,৮০০ মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং ১৫০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে তদন্তকারীরা। কুপওয়ারা থেকে পুলওয়ামা, সপুর, অনন্তনাগ, বারামুলা এলাকা জুড়ে এখনও চলছে ব্যাপক তল্লাশি।

পহেলগামের বৈসারন ভ্যালিতে তল্লাশি চালিয়েই প্রায় ৪০ টি কার্তুজের খোল পেয়েছিল তদন্তকারীরা। মোবাইল টাওয়ারের ডেটা সংগ্রহ করে এনআইএ-র হাতে উঠে আসে, অন্তত তিনটি স্যাটেলাইট ফোন (satellite phone) বৈসারন উপত্যকা এলাকায় ২২ মার্চ সক্রিয় ছিল। যার মধ্যে দুটির সিগন্যাল চিহ্নিত করে তদন্ত চালাচ্ছে এনআইএ। সূত্র অনুসারে, পহেলগামে হামলা চালানোর জন্য ১৫ এপ্রিল পহেলগাম পৌঁছে গিয়েছিল জঙ্গিরা। বৈসারন উপত্যকার পাশাপাশি আরু ভ্যালি (Aru valley), বেতাব ভ্যালি (Betaab valley) এবং স্থানীয় বিনোদন পার্কেও হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের। জঙ্গিদের কাছে যে রিপোর্ট ছিল সেই অনুযায়ী এইসব এলাকায় নিরাপত্তার চরম গাফিলতি ছিল। যার সুযোগ তারা নেওয়ার চেষ্টা করেছিল, এমনটাও প্রকাশিত এনআইএ-র রিপোর্টে।

–

–

–

–

–

–

–

–

–
