রুদ্ধ্বশ্বাস ম্যাচ। বড় রান করেও সহজ জয় পেল না কলকাতা নাইট রাইডার্স(KKR)। খেলা গড়াল শেষ ওভার পর্যন্ত। সেখানেই রাজস্থান রয়্যালসকে ১ রানে হারাল কলকাতা নাইট রাইডার্স। রাসেল(Andre Russell), রঘুবংশীর চওড়া ব্যাটে ভর করে কেকেআর বড় রান স্কোরকার্ডে তুলেছিল। বৈভব অরোরার(Vaibhav Arora) একটি ওভারেই যেন সব শেষ হতে বসেছিল। একেবারে শেষ বলেই মানরক্ষা। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে কোনওরকমে এক রানে জিতল কলকাতা নাইট রাইডার্স(KKR)।
বৈভব অরোরা(Vaibhav Arora) যখন শেষ ওভারে বোলিং করতে গিয়েছিলেন সেই সময় রাজস্থান রয়্যালসের বাকি ছিল ২২ রান। সেই জায়গা থেকেই বৈভব অরোরার বলে একের পর এক বড় শট খেলতে থাকেন শুবম দুবে। একটা সময় মনে হচ্ছিল ম্যাচ বোধহয় বেড়িয়েই গেল কলকাতা নাইট রাইডার্সের(KKR) হাত থেকে। ৫ বলে ১৯ রান দিয়ে সেই সময় কার্যত চাপে পড়ে গিয়েছিলেন বৈভব অরোরাও। অবশেষে রক্ষা। জফরা আর্চারকে রান আউট হতেই স্বস্তি। রাজস্থানের বিরুদ্ধে এক রানে কোনওরকমে জয়। সেইসঙ্গে প্লেঅফের আশাটাও একটু বাঁচিয়ে রাখল নাইট শিবির।
টস জিতে এদিন প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেকেআর অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে(Ajinkya Rahane)। ৬৯ রানের মধ্যেই ২ উইকেট খুইয়ে বেশ তাপে পড়ে গিয়েছিল নাইট শিবির(KKR)। সেই জায়গা থেকেই রান এগোনোর কাজটা করেন রাহানে। কিন্তু তাঁকেও থামতে হয় ৩০ রানে। ক্লাইম্যাক্সের অপেক্ষাটা ছিল এরপরই। মাঠে আসেন রাসেল(Andre Russell)। এরপরই শুরু একের পর এক বড় শট। ২২ বলে অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন তিনি।
ছয়, চারের বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন রাসেল। সেইসঙ্গে যোগ্য সঙ্গত রঘুবংশীর। শেষপর্যন্ত নাইট রাইডার্স করে ২০৬ রান। বল হাতেও শুরুর দিকে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন বরুণ, মোঈনরা। ৭২ রানের মধ্যে রাজস্থানের পাঁচ উইকেট তুলে নেয় নাইট বোলাররা। সেখানেই এক ওভারে বরুণের দুই উইকেট। মোঈনেরও শিকার ২ উইকেট। কিন্তু ক্রিজে ছিলেন রিয়ান পরাগ।
এদিন ছয় বলে ছটা ওভার বাউন্ডারিও হাঁকান তিনি। অবশেষে ৯৫ রানে রিয়ান পরাগকে থামান হর্ষিত রানা। কিন্তু কখনোই পুরোপুরি স্বস্তি পাচ্ছিল না নাইট রাইডার্স। শেষ ওভারে অনেক রান বাকি থাকলেও বৈভবের পাঁচ বলে ১৯ রান দেওয়ার পর রাহানের মুখেও ছিল চিন্তার ছাপ স্পষ্ট। শেষ এক রানেই ম্যাচ জিতল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ১১ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে উঠে এল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–