সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন (Ceasefire Violation) করে সীমান্তের লাগাতার আক্রমণ করে চলেছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত একনাগাড়ে চলছে গোলাবর্ষণ। আকাশ পথে ভারতের মোকাবিলা করতে না পেরে স্থলপথে কখনও জঙ্গি ঢুকিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে আবার কখনও বা নিরীহ মানুষদের টার্গেট করে চলেছে পাকিস্তানি সেনা। যোগ্য জবাব দিচ্ছে এ দেশের নিরাপত্তাবাহিনী। ভারতীয় সেনার (Indian Army) তরফের প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানি সেনার ড্রোন হামলার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারত। জাতির সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখন্ডতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দেশের সেনা, পাকিস্তানের নির্লজ্জ, ঘৃণ্য প্রচেষ্টা এবং ভারত বিরোধী পরিকল্পনার জবাব দিচ্ছে, দেবে। সন্ত্রাসবাদে মদতকারী দেশকে কোনভাবেই রেয়াত করা হবে না। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত যে হামলা চলছে সেই সংক্রান্ত সব তথ্য তুলে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সাংবাদিক বৈঠকে তুলে ধরা হবে বলে খবর।

পাকিস্তানি হামলা ব্যর্থ করে আকাশ পথে প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে কুপোকাত করেছে ভারত। অন্তত পঞ্চাশটি পাক ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্রে খবর মিলেছে। শুক্রবার ভোরেও রাজস্থানের জয়সলমীর, রামগড় এলাকায় পাকিস্তানি ড্রোন হামলা ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করেছে বলে শোনা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে এক পাক পাইলটকে আটক করা হয়েছে বলেও খবর। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনও তথ্য মেলেনি। বৃহস্পতিবার রাত এগারোটা নাগাদ সাম্বা জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্ত রেখা পেরিয়ে বেশ কয়েকজন জইশ জঙ্গি ভারতে ঢোকার চেষ্টা করলে তা প্রতিহত করে বিএসএফ (BSF)। এদিন ভোরে একাধিকবার পুঞ্চে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। যদিও এর উৎসস্থল কোথায় তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সকালের আলো ফোটার আগে পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরের (J & K) সমগ্র অংশে ফের ব্ল্যাকআউট করে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী তিন সেনা প্রধানকে নিয়ে বৈঠক করছেন বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি ঠিক কোন দিকে এগোচ্ছে তা বিদেশ মন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠকের পরই পরিষ্কারভাবে বোঝা যাবে।

–
–

–
–

–

–

–

–


–

–

–

–

–