রাজ্যে রবীন্দ্র চর্চায় নতুন পথ দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রবীন্দ্র জয়ন্তী তাই বাংলার সংস্কৃতিতে আলাদা স্থান করে নিয়েছে বরাবর। সেই পথেই রাজ্যে বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে আরও বেশি করে পালন করার আহ্বান রবীন্দ্র জয়ন্তীর (Rabindra Jayanti) মঞ্চ থেকে রাখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

শুক্রবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৫তম জন্মজয়ন্তীতে রাজ্য জুড়ে সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে কবিপ্রণাম। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে রবীন্দ্র সদনের (Rabindra Sadan) সামনে আয়োজন করা হয়েছে কবি প্রণামের। প্রাণের কবিকে মঞ্চে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের অনুরোধে কবিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে শিল্পী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গাইলেন, ‘দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার গানের ওপারে’, ‘আলোকের এই ঝরণাধারায় ধুইয়ে দাও’। সঙ্গে গলা মেলালেন গায়ক ইন্দ্রনীল সেন।

এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রবীন্দ্রচর্চাকে আরও বেশি করে জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে রাখার কথা বলেন। তাঁর কথায়, কবির জন্মদিবস কিংবা বাইশে শ্রাবণ আমরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে (Rabindranath Tagore) মনে করে তাঁর গান-কবিতা নিয়ে চর্চায় মেতে উঠি। কিন্তু অন্য দিনগুলিতে সেই চর্চা আমরা কমিয়ে দিয়েছি। এমনকী সিরিয়ালের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, সেখানেও রবীন্দ্রচর্চা দরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব ভাষা-কৃষ্টি-সংস্কৃতি রয়েছে। তাকে নিয়ে চলতে হয়। বাংলার নিজস্ব ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি রয়েছে। এই চর্চা আরও বেশি করে হওয়া উচিত।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কথায়, কবিগুরুর দ্বারা আমরা সবসময়ই কিছু না কিছু শিখি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore) ছাড়া আমরা কিছু ভাবতে পারি না। সকাল থেকে বিকেল সন্ধে— প্রতিটি মুহূর্তেই তিনি আমাদের সঙ্গে রয়ে যান। তাঁকে ছাড়া আমাদের চলে না। দুর্যোগ-দুর্ভোগ সব কিছুকে কেন্দ্র করে আমরা বিশ্বকবির কাছ থেকে শিক্ষা পাই।


–

–
–

–
–

–

–

–

–

–
