Tuesday, December 2, 2025

পরিস্থিতি যুদ্ধের থেকে কম নয়: প্রত্যাঘাতের ইঙ্গিত দিয়ে বার্তা তিন সেনাপ্রধানের

Date:

Share post:

দেশের সেনার কাজ শান্তি বজায় রাখা। সেই প্রক্রিয়ায় কেউ অশান্তির চেষ্টা করলে ভারতীয় সেনা কীভাবে জবাব দেবে স্পষ্ট করে দেওয়া হল ভারতের তিন সেনাপ্রধানের তরফ থেকে। সীমান্তে ক্রমাগত যেভাবে আকাশপথে অনুপ্রবেশ চালাচ্ছে পাকিস্তান, সেই পরিস্থিতি যুদ্ধের থেকে কম নয় বলে দাবি ভারতীয় সেনার ডিজিএমও (DGMO) লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজিব ঘাইয়ের। সেই সঙ্গে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হল, যেভাবে পাকিস্তানি ড্রোন (drone) ও যুদ্ধবিমান প্রতিহত করেছে ভারতের বায়ুসেনা, সেভাবেই পরেও প্রত্যাঘাত দেওয়া হবে।

পহেলগাম জঙ্গি হামলার পরে ভারতের মূল লক্ষ্য ছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা। বায়ুসেনার ডিজিএমও এ কে ভারতী দাবি করেন, ভারত নিজের লক্ষ্যে সফল হয়েছে। বিমানধ্বংস সংঘাতের অংশ তবে সব ভারতীয় বিমান চালক নিরাপদে ফিরে এসেছেন। জানানো হয়, অপারেশন সিন্দুরে (Operation Sindur) ১০০-র বেশি জঙ্গি নিহত হয়েছে। তার মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় নিশ্চিত করে প্রকাশ করা হয়েছে। বাকি নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া চলছে।

তবে ভারতের এই আঘাতেই হেলে গিয়েছে পাকিস্তান ও আকাশপথে ভারতের উপর হামলা শুরু করে তারা। পাল্টা পাকিস্তানের পশ্চিম সীমানার দিকে একাধিক এয়ার বেস, কম্যান্ড সেন্টার, সামরিক ঘাঁটি, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (Air Defence System) ধ্বংস করার দাবি করেন ডিজিএমও ভারতী। তবে কোনও ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক নীতি সঙ্ঘন করা হয়নি বলেও জানান তিনি।

সেই সঙ্গে ভারতীয় সেনার তরফ থেকে দাবি করা হয়, লাহোরের কাছাকাছি কোন অবস্থান থেকে ভারতের উপর ড্রোন হামলা চালানো হলেও লাহোর বিমানবন্দর থেকেই যাত্রীবাহী বিমানের ওঠানামা জারি রেখেছিল পাকিস্তান। এরপরই লাহোরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (Air Defense System) ধ্বংস করতে বাধ্য হয় ভারত, দাবি ডিজিএমও ভারতীর।

আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারবার সন্ত্রাসবাদ থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন রাখার দাবি জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে সেই দাবি যে কতটা ফাঁপা তা এদিন স্পষ্ট করে দেন ভারতের তিন সেনাপ্রধান। ডিজিএমও ঘাইয়ের দাবি পাকিস্তান কোনোভাবেই ভারতের আন্তর্জাতিক সীমানা লঙ্ঘন করেনি। তবে হামলা হয়েছে আকাশ পথে। সাধারণত সীমা লঙ্ঘন করে হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে, তাতে আকাশ পথে যে ধরনের হামলা চালানো হয়েছে তা পাকিস্তানের পক্ষ থেকেই চালানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে যা পরিস্থিতি তা যুদ্ধের থেকে কোন অংশে কম নয়।

জলপথে এখনও পাকিস্তানের দিক থেকে কোন পদক্ষেপ নেওয়া না হলেও ভারতীয় নৌসেনা যে প্রস্তুত আছে তা স্পষ্ট করে দেন নৌসেনার ডিজিএমও এ এন প্রমোদ। তিনি দাবি করেন, জলপথে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ভারতীয় নৌ সেনার। সেনার কাজ শান্তি বজায় রাখা। কিন্তু প্রতিপক্ষ যদি কোন উদ্ধত পদক্ষেপ নেয় তবে তার যথাযথ উত্তর তারা পাবে।

spot_img

Related articles

বিশেষভাবে সক্ষমদের অধিকার রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ রাজ্য সরকার, বার্তা শশীর

বিশেষভাবে সক্ষমদের (Physically Disable) অধিকার রক্ষাই মূল উদ্দেশ্য। ৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি দিবসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই বার্তা...

শুভেন্দুকে ‘কুকুরের’ সঙ্গে তুলনা! ‘সেবাশ্রয়’-এ আশ্রয় দেওয়ার বার্তা দেবাংশুর

সোমবারই শুরু হয়েছে তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সেবাশ্রয় (Sebaashray 2) ক্যাম্প। আর সেই সোমবারেই...

কি চান লাল কার্পেট বিছিয়ে স্বাগত জানাব? রোহিঙ্গা-অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতে কড়া মন্তব্য প্রধান বিচারপতির

"আপনারা কি চান? আমরা লাল কার্পেট বিছিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের স্বাগত জানাব?" রোহিঙ্গা (Rohingya) অনুপ্রবেশ নিয়ে মামলায় কড়া প্রশ্ন তুললেন...

বিসিসিআইয়ের মিটিংয়ের আগেই রোহিত-বিরাটের সঙ্গে আলোচনায় জাতীয় নির্বাচক

বুধবার দ্বিতীয়  একদিনের ম্যাচের আগে হেড কোচ গৌতম গম্ভীর এবং নির্বাচকদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা বিসিসিআই কর্তাদের। কিন্ত...