দেশের সেনার কাজ শান্তি বজায় রাখা। সেই প্রক্রিয়ায় কেউ অশান্তির চেষ্টা করলে ভারতীয় সেনা কীভাবে জবাব দেবে স্পষ্ট করে দেওয়া হল ভারতের তিন সেনাপ্রধানের তরফ থেকে। সীমান্তে ক্রমাগত যেভাবে আকাশপথে অনুপ্রবেশ চালাচ্ছে পাকিস্তান, সেই পরিস্থিতি যুদ্ধের থেকে কম নয় বলে দাবি ভারতীয় সেনার ডিজিএমও (DGMO) লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজিব ঘাইয়ের। সেই সঙ্গে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হল, যেভাবে পাকিস্তানি ড্রোন (drone) ও যুদ্ধবিমান প্রতিহত করেছে ভারতের বায়ুসেনা, সেভাবেই পরেও প্রত্যাঘাত দেওয়া হবে।

পহেলগাম জঙ্গি হামলার পরে ভারতের মূল লক্ষ্য ছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা। বায়ুসেনার ডিজিএমও এ কে ভারতী দাবি করেন, ভারত নিজের লক্ষ্যে সফল হয়েছে। বিমানধ্বংস সংঘাতের অংশ তবে সব ভারতীয় বিমান চালক নিরাপদে ফিরে এসেছেন। জানানো হয়, অপারেশন সিন্দুরে (Operation Sindur) ১০০-র বেশি জঙ্গি নিহত হয়েছে। তার মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় নিশ্চিত করে প্রকাশ করা হয়েছে। বাকি নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া চলছে।

তবে ভারতের এই আঘাতেই হেলে গিয়েছে পাকিস্তান ও আকাশপথে ভারতের উপর হামলা শুরু করে তারা। পাল্টা পাকিস্তানের পশ্চিম সীমানার দিকে একাধিক এয়ার বেস, কম্যান্ড সেন্টার, সামরিক ঘাঁটি, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (Air Defence System) ধ্বংস করার দাবি করেন ডিজিএমও ভারতী। তবে কোনও ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক নীতি সঙ্ঘন করা হয়নি বলেও জানান তিনি।

সেই সঙ্গে ভারতীয় সেনার তরফ থেকে দাবি করা হয়, লাহোরের কাছাকাছি কোন অবস্থান থেকে ভারতের উপর ড্রোন হামলা চালানো হলেও লাহোর বিমানবন্দর থেকেই যাত্রীবাহী বিমানের ওঠানামা জারি রেখেছিল পাকিস্তান। এরপরই লাহোরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (Air Defense System) ধ্বংস করতে বাধ্য হয় ভারত, দাবি ডিজিএমও ভারতীর।

আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারবার সন্ত্রাসবাদ থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন রাখার দাবি জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে সেই দাবি যে কতটা ফাঁপা তা এদিন স্পষ্ট করে দেন ভারতের তিন সেনাপ্রধান। ডিজিএমও ঘাইয়ের দাবি পাকিস্তান কোনোভাবেই ভারতের আন্তর্জাতিক সীমানা লঙ্ঘন করেনি। তবে হামলা হয়েছে আকাশ পথে। সাধারণত সীমা লঙ্ঘন করে হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে, তাতে আকাশ পথে যে ধরনের হামলা চালানো হয়েছে তা পাকিস্তানের পক্ষ থেকেই চালানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে যা পরিস্থিতি তা যুদ্ধের থেকে কোন অংশে কম নয়।
জলপথে এখনও পাকিস্তানের দিক থেকে কোন পদক্ষেপ নেওয়া না হলেও ভারতীয় নৌসেনা যে প্রস্তুত আছে তা স্পষ্ট করে দেন নৌসেনার ডিজিএমও এ এন প্রমোদ। তিনি দাবি করেন, জলপথে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ভারতীয় নৌ সেনার। সেনার কাজ শান্তি বজায় রাখা। কিন্তু প্রতিপক্ষ যদি কোন উদ্ধত পদক্ষেপ নেয় তবে তার যথাযথ উত্তর তারা পাবে।

–

–

–

–


–

–

–

–
