সন্ত্রাস-বাণিজ্য যেমন কখনও একসঙ্গে চলতে পারে না তেমনই রক্ত আর জল কখনও একসঙ্গে বইতে পারে না। পাকিস্তানকে স্পষ্ট বার্তা দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সোমবার, রাত আটটায় জাতির উদ্দেশে ২২ মিনিটের ভাষণে মোদি বলেন, রক্ত আর জল কখনও একসঙ্গে বইতে পারে না। একই সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী (Indian Prime Minister) জানান, যদি পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা হয়, তাহলে সেটা শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদ এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে হবে। পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) নাম না করে তাঁর মধ্যস্থতার দাবিও উড়িয়ে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।

সন্ত্রাসবাদীদের চোখরাঙানি যে ভারত সহ্য করবে না- তা প্রত্যেক কথায় বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যেমন সন্ত্রাস ও বাণিজ্য একসঙ্গে চলতে পারে না। ঠিকই তেমনই জল ও রক্ত একসঙ্গে বইতে পারে না। পহেলগামের ঘটনার পরেই পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু চুক্তি স্থগিত রাখে ভারত। পাকিস্তানের তরফে হুমকি দেওয়া হয়, ভারতের তরফে যদি জল বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে সেটাকে যুদ্ধ হিসেবে দেখা হবে। কিন্তু নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসেনি ভারত। এ দিন আরও স্পষ্ট করে প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দেন, সন্ত্রাসবাদে মদত বন্ধ না করলে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও রকম সম্পর্ক রাখা হবে না।

একই সঙ্গে সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে ট্রাম্পের মধ্যস্থতা দাবি যেদিন কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “আমাদের স্কুল-কলেজ, সাধারণ নাগরিকের বাড়িঘর, মন্দিরকে নিশানা করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু ওরা ব্যর্থ হয়। দুনিয়া দেখল কী ভাবে পাকিস্তানের ড্রোন, মিশাইল ভারতের কাছে ধুলিসাৎ হল। আকাশেই নষ্ট করে দেওয়া হল। তিন দিনে পাকিস্তানকে যা করা হয়েছে, যা ওরা ভাবতেই পারেনি। এখন ওরা বাঁচার রাস্তা খুঁজেছে। দেশে দেশে ঘুরেছে। খারাপ ভাবে হেরে যাওয়ার পরে ১০ মে পাকিস্তানি সেনা আমাদের ডিজিএমও-র দ্বারস্থ হয়।”

মোদির কথায়, “১০ মে দুপুরে পাকিস্তান সেনা আমাদের DGMO-র সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। ততক্ষণে আমরা ওদের জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছি। পাকিস্তান যখন বলল যে এরপর থেকে আরও কোনও জঙ্গি কার্যকলাপ বা সেনা দুঃসাহস দেখাবে না, তখন ভারতও বিষয়টি বিবেচনা করে দেখব বলে জানায়।” অর্থাৎ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট মধ্যস্থতার যে দাবি করেছিলেন তা কার্যত নস্যাৎ করে দিয়েছেন মোদি।

পাশাপাশি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানান, যদি পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা হয়, তাহলে তা সন্ত্রাসবাদ ও পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়েই হবে। অর্থাৎ কাশ্মীর প্রসঙ্গে যে তিনি পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী নন তাই দিন জানিয়ে দেন মোদি।
আরও পড়ুন – তিরঙ্গা হাতে ভোটের খোঁজে: অপারেশন প্রচার শুরু বিজেপির

_

_

_

_


_

_

_

_

_